সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে আরও সহজ ও কার্যকর করতে দেশের ১৭টি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ (এনপিএ)। গতকাল সোমবার অর্থ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খান।
চুক্তি অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো পেনশন স্কিমে নিবন্ধন, চাঁদা সংগ্রহ ও অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) সংযুক্তিতে এনপিএকে সহায়তা করবে। এতে নাগরিকদের অংশগ্রহণ সহজ ও সাশ্রয়ী হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থ বিভাগের সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, ব্যাংকগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে এই স্কিম বাস্তবায়নে। তাদের উচিত গ্রাহকদের এতে উদ্বুদ্ধ করা। জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রচার জোরদার করতে হবে। এতে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং সরকারের লক্ষ্য পূরণে সহায়তা মিলবে।
চুক্তি স্বাক্ষরকারী ব্যাংকগুলো হলো ব্যাংক এশিয়া, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউসিবি।
এই চুক্তির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৪১টি ব্যাংক সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে। বাকি দেশীয় ব্যাংকগুলোও পর্যায়ক্রমে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে এনপিএ।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে রয়েছে চারটি স্কিম। এগুলো হচ্ছে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী পান একটি ইউনিক পেনশন আইডি, যার মাধ্যমে অনলাইনে চাঁদা জমা ও মুনাফার তথ্য দেখা যায়। স্কিমে রয়েছে আয়কর রেয়াত, ঋণসুবিধা এবং দরিদ্রদের জন্য সরকারি সহ-অংশীদারত্বের সুযোগ। ফলে এটি হতে পারে অবসরোত্তর জীবনযাত্রার একটি নিরাপদ ভিত্তি।