বাংলাদেশ ব্যাংকের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পোশাক নির্ধারণ করে জারি করা নির্দেশনাকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের খারাপ নজির’ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ৫৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। একই সঙ্গে এ ধরনের নির্দেশনা তৈরির সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেন, এ ধরনের নির্দেশনা কেবল নারীর মৌলিক অধিকার ও সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনই নয়, বরং বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো একটি জাতীয় সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক রুচি ও সংস্কৃতির জন্যও লজ্জাজনক।
নির্দেশনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এ নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হলেও যেহেতু এটি জারি হয়েছিল, এ কারণে সেটি আমলে নিয়ে নির্দেশনা জারির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রতিটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানেরই জনগণের কাছে জবাবদিহির দায় আছে, সেটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন- মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, মানবাধিকারকর্মী নুর খান, সুপ্রীম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আসকের সভাপতি জেড আই খান, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা প্রধান অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, আদিবাসী মানবাধিকারকর্মী রানী য়েন য়েন, বেলার প্রধান নির্বাহী তাসলিমা ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, সংগীতশিল্পী কৃঞ্চকলি ইসলাম এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা।