বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (৩১ জুলাই) স্থানীয় সময় ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউস এক ঘোষণায় এ সিদ্ধান্ত জানায়। বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশের ওপর নতুন বা বাড়তি শুল্ক আরোপ করে প্রকাশিত এ তালিকায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশ রয়েছে। আজ পহেলা আগস্ট থেকে প্রায় ৭০টি দেশের ওপর নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি।
১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে ব্রাজিল, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, যুক্তরাজ্য এবং নির্বাহী আদেশে তালিকাভুক্ত নয় এমন অন্যান্য সব দেরশর জন্য। ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, বলিভিয়া, বতসোয়ানা, ক্যামেরুন, চাদ, কোস্টারিকা, আইভরি কোস্ট, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, ইকুয়েডর, নিরক্ষীয় গিনি, ফিজি, ঘানা, গায়ানা, আইসল্যান্ড, ইসরায়েল, জাপান, জর্ডান, লেসোথো, লিচেনস্টাইন, মাদাগাস্কার, মালাউই, মরিশাস, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, নাউরু, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া, নরওয়ে, পাপুয়া নিউ গিনি, দক্ষিণ কোরিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তুরস্ক, উগান্ডা, ভানুয়াতু, ভেনিজুয়েলা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ের জন্য।
১৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে নিকারাগুয়ার জন্য; ১৯ শতাংশ কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনের জন্য; ২০ শতাংশ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, ভিয়েতনামের জন্য; ২৫ শতাংশ ব্রুনাই, ভারত, কাজাখস্তান, মলদোভা, তিউনিসিয়ার জন্য; ৩০ শতাংশ আলজেরিয়া, বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনা, লিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। ৩৫ শতাংশ ইরাক, সার্বিয়া; ৩৯ শতাংশ সুইজারল্যান্ড; ৪০ শতাংশ লাওস, মিয়ানমার এবং ৪১ শতাংশ সিরিয়ার জন্য।
এর বাইরে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম রয়েছে। কানাডা পহেলা অগাস্ট থেকে এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হচ্ছে।মেক্সিকোর ফেন্টানাইল ও গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ এবং ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও তামার ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে– যা ৯০ দিনের মধ্যে শুরু হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসা পণ্য শূন্য থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের মুখোমুখি হচ্ছে। এই হার ৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর করা শুরু হবে।