আমেরিকার শুল্ক আরোপের চলমান ইস্যুর মধ্যেই সোমবার ভারত সফরে এসেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর। এর আগে এরই মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এ মাসেই চীন সফরে যেতে পারেন নরেন্দ্র মোদি।
চলতি সপ্তাহেই ইসলামাবাদ সফরে যেতে পারেন ওয়াং। এর আগে ভারতে ওয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বহুপক্ষীয় বিশ্বব্যবস্থার দিকে জোর দেন জয়শঙ্কর। তিনি জানান, ভারত এক সুষ্ঠু, ভারসাম্যপূর্ণ বিশ্বব্যবস্থা চায়। এশিয়া মহাদেশের মধ্যেও এই ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে বলে ওয়াংকে জানান জয়শঙ্কর।
ভারতের মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের দিনে বহুপক্ষীয় ব্যবস্থাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা ভীষণ প্রয়োজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এবং তা বৃদ্ধি করা স্পষ্টতই অপরিহার্য।’
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়েও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জয়শঙ্করের। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সবধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ভারতের অন্যতম অগ্রাধিকার। এ বিষয়ে চীনের সঙ্গে আরও আলোচনার জন্য আগ্রহী ভারত। জয়শঙ্কর জানান, ভারত ও চীনের মধ্যে একটি স্থিতিশীল, সহযোগিতামূলক ও সুদূরপ্রসারী সম্পর্ক গড়ে উঠবে বলেও আশাবাদী তিনি।
মঙ্গলবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ওয়াংয়ের। ওই বৈঠকে মূলত ভারত-চীন সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, চীন ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনরায় শুরু করাই ওয়াংইর এ সফরের মূল এজেন্ডা। এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। পর্যটন ভিসার বিষয়েও দুই দেশ আলোচনা করছে।
রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনার শাস্তি হিসেবে ভারতে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে ভারতীয় পণ্যকে আমেরিকায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হবে। আগামী ২৭ আগস্ট থেকে নতুন এ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা। এ নিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটনের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।