মোদির সঙ্গে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে দু’দেশের

: বিশ্বপরিস্থিতি ডেস্ক
প্রকাশ: ২ মাস আগে

দিল্লিতে নিজ কার্যালয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার এই বৈঠকের ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেন তিনি। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, চীন ও ভারতের মধ্য সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, সোমবার ভারত সফরে যান ওয়াং ই। গতকাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি। এরপর আজ বৈঠক হয় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হলো তাঁর।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং এই মাসের শেষের দিকে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

মোদি লেখেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে দেখা হয়ে ভালো লাগছে। গত বছর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কাজানে বৈঠকের পর থেকে স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভারত-চীন সম্পর্কে স্থিতিশীল অগ্রগতি এসেছে। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে তিয়ানজিনে আমাদের পরবর্তী বৈঠকের জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। ভারত ও চীনের মধ্যে স্থিতিশীল, গঠনমূলক সম্পর্ক আঞ্চলিক এবং বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলেই মনে করি।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, এর আগে আজ বেইজিংয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে জনসমক্ষে অজিত ডোভাল বলেন, ৩১ আগস্ট তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদি। এর মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের পর এটিই হতে যাচ্ছে তাঁর প্রথম চীন সফর। একে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘নতুন শক্তি’ বলে উল্লেখ করেন অজিত ডোভাল।

ওয়াংয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে একজন অনুবাদক বলেন, চীন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ গ্রহণে মোদির সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। ওয়াং আরও বলেন, ‘ইতিহাস ও বাস্তবতা আবারও প্রমাণ করে যে, একটি সুস্থ ও স্থিতিশীল চীন-ভারত সম্পর্ক আমাদের উভয় দেশের মৌলিক ও দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের জন্য কাজ করে।

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই দেশ দুটি দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী। ২০২০ সালে তারা একটি মারাত্মক সীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ভারত আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সঙ্গে কোয়াড নিরাপত্তা জোটেরও অংশ। এই জোটকে চীনের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা হয়।

কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক বাণিজ্য ও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে আটকে ভারত ও চীনের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের দিকে এগিয়ে গেছে। সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনার সময় ওয়াং বলেন, ‘দেশ দুটির পরস্পরকে হুমকির পরিবর্তে অংশীদার ও সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত।’

  • চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • বৈঠক
  • মোদি
  • #