রাজধানীর প্রায় ৯৫ শতাংশ ভবন ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মূল কারণ, রাজউকের কর্মকর্তাদের অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের অনুমতি। এ অভিযোগ করেছে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ-সিজিএস। বুধবার সকালে রাজধানীর সিরডাপে মিলনায়তনে সংলাপে ব্যবসায়ীরা জানান, অস্পষ্ট ড্যাপ নীতিমালার কারণে আবাসন খাতে বিনিয়োগে আস্থা কমছে।
ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে ২০২২ সালে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা-ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক। এরপর থেকেই এর পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
এ বাস্তবতায়, টেকসই নগরায়ণ প্রসঙ্গে নাগরিক সংলাপ আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ-সিজিএস। আবাসন খাতের সংগঠন রিহ্যাবের সহ-সভাপতি বলেন, রাজউক কর্মকর্তারা অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন। ফলে, ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানীর প্রায় ৯৫ শতাংশ ভবন।
রিহ্যাবের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাজউকের একটি ইট পর্যন্ত অর্থ ছাড়া কাজ করে না। এই যন্ত্রণা ভেদ করে আমরা যারা ডেভলপার রয়েছি, আমরা চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত কাজ করবার জন্য।’
বক্তারা বলেন, এলাকাভেদে ভবন নির্মাণের জন্য জমি ব্যবহারের অনুপাত আলাদা হওয়ায়, আগ্রহ পাচ্ছেন না জমি মালিকরা। ফ্লাটের সংখ্যা কমায় সংকট তৈরি হচ্ছে আবাসন খাতে। এ খাতে কমছে বিনিয়োগও।
সিজিএস সভাপতি পারভেজ করিম আব্বাসী বলেন, ‘রাজউকের এখন ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। রাজউক তো একেবারে উঠে যাবে না। তাহলে সেক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধি থেকে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া উচিত। সুশীল সমাজ থেকে স্বাধীন পরিচালক দেওয়া উচিত এবং ব্যবস্থাপনা পরিষদ ভেঙে দেওয়া উচিত।’
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, এসব বিষয়ে আইন থাকলেও সঠিক বাস্তবায়নের অভাবে আবাসন খাতে সমস্যা রয়ে গেছে।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, আমি একটা জিনিস কিনব, সেখানে কোনো কিছু নির্মাণ করবো একটা আইনের আওতায়। দুই দিন পরে ওই নিয়ম বা আইনটা ভেঙে দিলেন, সেক্ষেত্রে আমার সব বিনিয়োগ তো মাঝখানে থেকে পথে পরে যাবে। আইন যেটা করতে হবে সেটার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।