কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা চিংড়িঘের থেকে অপহরণের পর তোফায়েল আহমেদ ছিদ্দিক (৩০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে। নিহত তোফায়েল কালারমার ছড়ার মোহাম্মদ শাহ ঘোনা এলাকার ছিদ্দিক আহমেদ মাতব্বরের ছেলে।
জানা গেছে, রোববার (২৪ আগস্ট) ভোরে উপজেলার কালারমার ছড়া অফিসপাড়া সড়ক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। এর আগে শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে কালারমার ছড়ার পশ্চিমাঞ্চল ‘আটজইন্যা ও পনেরজইন্যা ঘোনা’ এলাকায় প্রায় ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী ও ডাকাত হানা দেয়। তারা ঘেরের কর্মচারীদের মারধর করে প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ ও মালামাল লুট করে নেয় এবং অস্ত্রের মুখে তোফায়েলকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় মুহুর্মুহু গুলি চালিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।
খবর পেয়ে পরিবার প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করলে কোস্ট গার্ড ও পুলিশ পাহাড়ে অভিযান চালায়। তবে তাকে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হয়নি। ভোরে প্রধান সড়কের পাশে পিটিয়ে থেতলানো ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।
পরে চকরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই সরওয়ার আজম ছিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে ঘের থেকে ধরে পাহাড়ে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। পরে তার লাশ সড়কে ফেলে যায়। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, কুখ্যাত কালাবদার নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী গ্যাং এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
মহেশখালী থানার ওসি মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়েছে। নিহতের মরদেহ চকরিয়া হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, কালারমার ছড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও চিংড়িঘের দখল নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার পর আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।