স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে

নোয়াখালীর মাইজদী পৌর এলাকায় স্বামী, শাশুড়িকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।

রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন জেলার সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের ওলি উল্যার ছেলে মো. হানিফ (২৯) ও একই ইউনিয়নের বাহাদিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. কামরুল (৪৫)।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, গত শুক্রবার তার স্বামী পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়াঝাঁটির জেরে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাইজদী চলে আসেন। তিনিও স্বামীকে অনুসরণ করে অন্য একটি গাড়িতে মাইজদীতে পৌঁছান। সকাল ৭টার দিকে পৌরবাজারের একটি দোকানের সামনে তারা স্বামী-স্ত্রী তর্কে লিপ্ত হন। এ সময় হানিফসহ দুজন এসে তার কাছে স্বামীর পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে তার স্বামীকে মারধর শুরু করেন।

গৃহবধূর অভিযোগ, মারধরের পর তাদের পৌরবাজারের একটি পরিত্যক্ত ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যান হানিফ। হানিফের সঙ্গে ৪-৫ জন সহযোগীও এ সময় যুক্ত হন। তাকে ও তার স্বামীকে পৃথক দুটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। এর মধ্যে তার স্বামীর ফোন পেয়ে ঘর থেকে তার শাশুড়ি ও দেবর পরিত্যক্ত ভবনটিতে আসেন। সেখানে দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির নিচের একটি কক্ষে তার শাশুড়ি ও দেবরকেও আটকে রাখা হয়। একপর্যায়ে হানিফসহ কয়েকজন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

গৃহবধূ বলেন, তারা আমার পরনের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে। আমি কোনো রকমে দোতলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিজেকে রক্ষা করি।

গৃহবধূর শাশুড়ির দাবি, তার পুত্রবধূ লাফ দিয়ে নিচে পড়ে আহত হওয়ার পরও তাকে টেনেহিঁচড়ে আবার দোতলার কক্ষটিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এলে হানিফ ও তার সহযোগীরা পালিয়ে গেছেন। পরে তার পুত্রবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাইজদী পৌর বাজার ব্যবসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম বলেন, এ ঘটনার পর গতকাল সন্ধ্যায় হানিফ ও কামরুলকে পৌর বাজারে দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। এ সময় তাঁদের আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

জানতে চাইলে সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়েছে থানায় মামলা করেছেন। হানিফ ও কামরুলকে মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

  • অভিযোগ
  • গৃহবধূ
  • গ্রেপ্তার
  • ধর্ষণচেষ্টা
  • নোয়াখালী
  • #