কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামুর রশিদনগরে মারসা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও চারজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রামুর রশিদনগরের স্বপ্নতরী পার্ক সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রামু হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন চালকের আসনে থাকা নিহত ব্যক্তি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইয়াসিন আহমেদ ও তার ছেলে ইয়াজিন (৩)। গুরুতর আহতরা হলেন ইয়াসিনের মা, স্ত্রী আলীফ লায়লা, বোন ডা. সুমাইয়া ও চালক জসিম উদ্দিন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে কক্সবাজারের চকরিয়া পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে আসেন গাড়ি চালক জসিম। এরপরে চালকের ক্লান্তির কারণে অ্যাডভোকেট ইয়াসিন গাড়ি চালিয়ে কক্সবাজার শহরে আসার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামগামী মারসা বাস- কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের চালক ও এক শিশু ঘটনাস্থলে নিহত হয়। নারীসহ গুরুতর আহত আরও চারজনকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুত্বর আহতরাও একই পরিবারের। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’
স্বপ্নতরী পার্কের এক কর্মচারী বলেন, ‘দুটি গাড়ির সংঘর্ষে বিকট শব্দের পর দৌড়ে গিয়ে দেখি মাইক্রোবাসটি খাদে পড়ে গেছে। গাড়ির ভেতরে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও একটি শিশু আটকে ছিল। খবর পেয়ে রামু থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর গাড়ির নিচ হতে একটি শিশুকে চাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’
রামু হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, ‘আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মরদেহগুলো সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’