এর আগে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রেল ভবনে সরকারের দুই উপদেষ্টার সঙ্গে চলমান আন্দোলনের দাবিগুলো নিয়ে (প্রথমে তিন দফা ও পরে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার পর ঘোষণা করা পাঁচ দফা) শিক্ষার্থীদের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আগের কয়েকদিনের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যার নেতৃত্বে ছিল বুয়েট। আগের দিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা অবধি চলা কর্মসূচির পর দ্বিতীয় দিনে তাদের শাহবাগে অবস্থানের কারণে পুরো এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভের মধ্যে দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাত্রা শুরু করলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়।
এ সময় লাঠিপেটা, জল কামান, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্তি থেকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্র ও পুলিশ সদস্য আহত হন। ছাত্রদের উপর পুলিশের হামলা ও লাঠিচার্জের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনামুখর হন নেটিজেনরা। সংঘর্ষের পর আবার শাহবাগে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর বিকাল ৫টার দিকে বিফ্রিং করে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ক্ষমা চাওয়ার দাবিসহ পাঁচ দাবি দেয় তারা। তা না হলে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় তাদের তরফে। পরে রেলভবনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দুই উপদেষ্টা।