কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, নুরুর ওপর এ হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার বিকালে একদল বিক্ষোভকারী মিছিল নিয়ে কাকরাইল মোড় হয়ে জাতীয় পার্টির অফিস পার হওয়ার সময় পুলিশের দিকে ইট-জুতা নিক্ষেপ করতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর তারা সড়কে অগ্নিসংযোগ করে। পরে তারা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এর আগে কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জাপা একাংশের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
গতকালের ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, মশাল মিছিলের নামে শুক্রবার জাতীয় পার্টির অফিসে আগুন দিতে আসেন বেশ কয়েকজন। ওই সময় আগুনে পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে নেতাকর্মীদের রক্ষা করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। দেশের মঙ্গলের জন্য সেনাবাহিনীর আরও দৃশ্যমান হওয়া উচিত।
নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স। জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তার ও জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবিতে করা এই কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এরপর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে করা মিছিলে বিক্ষোভকারীদের ‘একটা একটা জাপা ধর, ধইরা ধইরা গ্রেপ্তার কর’, ‘আপা গেছে যেই পথে, জাপা যাবে সেই পথে’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ছাত্র-জনতার অ্যাকশন, ডাইরেক অ্যাকশন’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। বিক্ষোভ মিছিলটি
বিএনএস সেন্টার থেকে হাউজবিল্ডিং দিয়ে ইউটার্ন করে আজমপুর হয়ে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের শহীদ মুগ্ধ মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উত্তরায় জি এম কাদেরের বাসার সামনে ও বিএনএস সেন্টার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।