গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৮ বছর বয়সি এক নববধূ বাসর রাতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাঁর স্বামীসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলামের তথ্যমতে, গত শুক্রবার রাতে নববধূর বাবার বাড়ির গ্রাম থেকে সাতজন আটক হন। শনিবার বিকেলে তাদের সাঘাটা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফাহাদ আল আসাদ জানান, গত শুক্রবার বেলা ২টার দিকে ভুক্তভোগী হাসপাতালে আসেন। সঙ্গে আরও দুই নারী ছিলেন। এখানে ভুক্তভোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই নারীর শরীরে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাঘাটার এক ছেলের সঙ্গে গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা ওই তরুণীর বিয়ে হয়। গত বুধবার ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে পারিবারিকভাবে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের পর স্বামী ওই তরুণীকে নিয়ে বাড়িতে যান।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বুধবার শেষ রাতে বরপক্ষ বিদায় নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের শিকার হন মেয়েটি। গত শুক্রবার দুপুরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীসহ সাতজন আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। প্রকৃত ঘটনা কী, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে। পরবর্তীকালে প্রকৃত অপরাধীদের পরিচয় জানানো হবে।