নীলফামারীতে শ্রমিকদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৪ দিন আগে

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক অন্তোষের জেরে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মো. হাবিবুর রহমান (২০) নামে এক শ্রমিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ইপিজেডের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত ইকু ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি নিটিং কারখানার শ্রমিক। তিনি জেলা সদরের সংগলশী ইউনিয়ের কাজীরহাট গ্রামের মো. দুলাল উদ্দিনের ছেলে।

ইপিজেডের শ্রমিকরা জানান, সেখানে অবস্থিত এভারগ্রিন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে সম্প্রতি ৫১ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। এ নিয়ে গত তিন দিন ধরে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। এ অবস্থায় শ্রমিকদের জুলাই-আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে আজ মঙ্গলবার অনির্দিষ্টকালের জন্য এভারগ্রিন কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সকালে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করতে না পেরে ইপিজেডের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। এতে ইপিজেডের সামনে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালালে হাবিবুর রহমান নামের এক শ্রমিক ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন শ্রমিক আহত হন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন মো. মোমিনুর রহমান (২৫), মো. শাহিন (২৬), নূর আলম (৩০), মোস্তাক আহমেদ (২৫), লিপি আক্তার (২৬) জমিলা খাতুন (৩৫)।

নিহত হাবিবুর রহমানের বড় ভাই আশিকুর রহমান (২৪) অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাই হাবিবুর ইকু ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি নিটিং কারখানায় রাতে কাজ করেছেন। সকালে কাজ শেষে ইপিজেড থেকে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।’

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারহান তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাবিবুর রহমানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এ ছাড়া আহত ছয়জন চিকিৎসাধীন।’
নীলফামারী সদর থানার ওসি এম আর সাঈদ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বলেন, ‘আমরা এখনো সড়কে। লোকমুখে মারা যাওয়ার কথা শুনছি। কেউ মারা গেছেন কি না এখনো সঠিকভাবে বলতে পারব না।’

ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি।

  • আহত
  • নিহত
  • নীলফামারী
  • যৌথবাহিনী
  • শ্রমিক
  • সংঘংর্ষ
  • #