সাদুল্লাপুর উপজেলায় শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে পাঁচটি প্রতিমাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়ে গেছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও পুলিশ জানিয়েছে, মন্দির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে দুইটি পক্ষ আলাদাভাবে পূজার আয়োজন করে।
এদের মধ্যে একটি পক্ষের প্রতিমা তৈরি হচ্ছে বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ কার্তিক চন্দ্র সরকারের বাড়িতে। বিরোধের জেরে শনিবার তিনি মন্দিরের ফটকে তালা দেন। অপরপক্ষ মন্দিরের পাশে খোলা চত্বরে অস্থায়ী মন্দির তৈরি করে পাঁচ-ছয় দিন ধরে প্রতিমা তৈরি করছিলেন। এই অবস্থার মধ্যে রাতের আঁধারে দুর্গা, লক্ষ্মী, কার্তিক, গনেশসহ পাঁচটি প্রতিমায় অগ্নিসংযোগ করা হয়।
মন্দির কমিটির সাবেক সভাপতি অনুকূল চন্দ্র রনু বলেন, “মন্দির নিয়ে সামাজিক বিরোধের কারণে আমরা ৮-১০টি পরিবার মন্দিরের পাশে ছাপড়া ঘর তুলে পূজা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেই। সেই অনুযায়ী, প্রতিমা তৈরির কাজ চলছিল। কিন্তু আগুনে সব পুড়ে গেছে।”
মন্দির কমিটির বর্তমান সভাপতি কুন্তূল চন্দ্র দাস বলেন, প্রতিপক্ষ খোলা জায়গায় অরক্ষিতভাবে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেন। রাতের আঁধারে কে বা কারা এই আগুন দিয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
মন্দিরের পাশের বাসিন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপ্তি রানী বলেন, প্রতিমা পুড়ে যাওয়ায় এবার দুর্গাপূজা নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দীন খন্দকার বলেন, গভীর রাতে জামালপুর ইউনিয়নের হামিন্দপুর গ্রামের কামারপাড়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দির চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।