কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকার একটি বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে কালিয়াজুড়ি খেলার মাঠের পাশের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
যাদের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তারা হলেন কুমিল্লা আদালতের প্রয়াত কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার (৫০) ও তার মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন (২৪)।
ভবনের মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানান, প্রায় চার বছর আগে কুমিল্লার আদালতের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাড়িটি ভাড়া নেন। গত বছর তার মৃত্যুর পর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার (৫০), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া আফরিন (২৪), তার দুই ছেলে বাড়িটিতে থাকছেন।
তিনি জানান, ভাড়া বাড়িতে তারা অন্য কারও সঙ্গে তেমন কথা বলতেন না। গতকাল রাতে তার দুই ছেলে ঢাকা থেকে বাসায় আসলে তারা ঘরের দরজা খোলা দেখেন। এ সময় তারা ভাবেন, তাদের মা ও বোন ঘুমিয়ে রয়েছেন। কিন্তু বাসায় ঢুকার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তাদের কোনো সারাশব্দ না পেয়ে জাগাতে গিয়ে দেখেন তারা নড়ছেন না। পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে সোমবার ভোরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
হত্যাকাণ্ডের সময় সেই বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আরও কেউ ছিলেন কি-না তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশের উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ঘটনার দিন সকাল থেকে দুপুরের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। তবে বেলা ১টার ৩৫ মিনিটের দিকে সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রোববার সকাল ৮টা ৮ মিনিটে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মাথায় টুপি পাঞ্জাবি-পাজামা পড়া বাসায় প্রবেশ করে। পরে বেলা ১১টা ২২ মিনিটের দিকে তাকে বের হতে দেখা যায়। সবশেষ আবারও বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। তবে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত আর কোনো সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।