সারাদেশে গত ৮ মাসে ২ হাজার ৬১৬টি খুন এবং ১৫ হাজার ৪৯টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার ২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অপরাধের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তুলনামূলক সার্বিক চিত্র প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শেষ ১৩ মাসে খুনের হার বেশি বলে মনে হলেও এর আংশিক কারণ হলো শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে সংঘটিত কমপক্ষে ১ হাজার ১৩০টি খুনের ঘটনায় গণ-অভ্যুত্থানের পরে অর্থাৎ ৬ আগস্ট, ২০২৪ সালের পর থেকে এই বছরের আগস্টের মধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে। অনেক হত্যা মামলা পূর্বে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে দায়ের করা যায়নি, পুলিশকেও মামলা নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পরেই এসব তথ্য সামনে এসেছে এবং মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২৩ সালে খুনের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৩, ২০২৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৪০। অন্যদিকে ২০২৩ সালে ১৮ হাজার ৯৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে এবং ২০২৪ সালে ১৭ হাজার ৫৬৪টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
অন্যান্য অপরাধের বিষয়ে প্রেস উইং জানিয়েছে, ‘বিগত বছরের তুলনায় ২০২৫ সালে অনেক ধরনের অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে হলেও এর আংশিক হচ্ছে এখন মানুষ রাজনৈতিক প্রভাবশালী অপরাধীদের বিরুদ্ধেও সহজে মামলা করতে পারছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা আগে ভুক্তভোগীদের মামলা করতে বাধা দিত, বিশেষ করে যদি অপরাধীরা তাদের দলের কর্মী হয়। শেখ হাসিনার আমলে অপরাধের তথ্য কম দেখানো হতো। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিতেও পুলিশ অনিচ্ছুক ছিল।’
বলা হয়েছে, ২০২৪ ডাকাতির ১ হাজার ৪০৫ ঘটনা ঘটে। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩১৪টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে, ২০২৩-এর প্রথম ছয় মাসের তুলনায় এখনও বেশি। এর কারণ হলো, সমস্ত ডাকাতির ঘটনা এখন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই থানায় রেকর্ড করা হচ্ছে।