পাহাড়ের বন্ধুত্ব
তুমি আমার সেই পাহাড়
যার শীর্ষে দাঁড়িয়ে খুঁজে পাই নিজের ক্ষুদ্রতা
যার বুকে মাথা রেখে আকাশ ছোঁয়ার ব্যাকুলতা।
যার বন্ধুত্বের বাঁধন অনড়, ইস্পাত
তুমি আমার সেই পাহাড়
যার বুক চিরে বেয়ে চলে ঝরনার গোপন প্রেমের অনুরণন
যার কলধ্বনিতে শুনি প্রেমের অতল সঙ্গীত।
যার অটল বিশ্বাসে বুকের পাঁজরে নির্দ্বিধায় ঘুমানো যায়।
তুমি আমার সেই পাহাড়
যার বুকে পেরেক ঠুকে খোদাই করা যায় অবিনাশী প্রেমকাব্যে
তুমি কেবল পাথরের স্তূপ নয়
তুমি আমার অবিনাশী বন্ধু
যার শিকড় মাটির গভীর অতলান্তে।
অদৃশ্য মায়ার বাঁধন
এক অদৃশ্য মায়ার বাঁধনে আটকে
গেছি আমরা
তুমি আমি…
দুই ভিন্ন মহাজাগতিক তরঙ্গ
তবুও অদৃশ্য স্রোতে বাঁধা
যেন ব্ল্যাকহোলের গভীরে আলোর নিঃশ্বাস।
তোমার চোখ…
অজানা নীহারিকা দরজা
যেখানে আমি হারাই প্রতিবার
যেন সমুদ্রের তলায় ডুবে যাওয়া
ভ্রমণপিপাসু নাবিক।
তুমি আমাকে টেনে নাও
যেন চাঁদের অদৃশ্য টানে
জোয়ার ওঠে সমুদ্রের বুকে।
আমি আবারো ভেসে যায়
তোমার হৃদয়ের নীল নক্ষত্রপুঞ্জে।
এই মায়ার বাঁধন
এটা সেই সেতু
যা আকাশের সীমা ভেঙ্গে সমুদ্রের গহীনে নামে।
তুমি আমার নিঃশ্বাসের মহাকাশ
আমি তোমার স্বপ্নের অনন্ত তরঙ্গ,
আমরা একসাথে লিখি প্রেমের মহাকাব্য
অদৃশ্য মায়ার বাঁধনে বাঁধা থেকে।
খুচরো পয়সার জীবন
অস্তিত্বের শূন্যতায়
খুচরা পয়সার মত নিঃশ্বাস ঘুমিয়ে থাকে,
যা নীরবতার আড়ালে নড়ে উঠে
বঞ্চিত মানুষের করুণ সুরে,
চিহ্নহীন কিন্তু নিরন্তর।
অবিচারের কালো ছায়া…
ধ্বংসের বিষবাষ্পে ভাসায়
লোভ,.ধর্মান্ধতা, বিভ্রমের অদৃশ্য মায়াজাল,
চেষ্টা করে প্রাণের আলো নিবারণের;
কিন্তু অন্তর্গত চেতনার অগ্নিকুণ্ড অচঞ্চল জ্বলে,
প্রতিটি শিকল ভেঙে দেয় অমানবিকতার অন্ধকারে।
অসভ্যতার জটিল গুহজল
বিবেককে জড়িয়ে রাখে বিষাক্ত সর্পিলতায়,
যেন অদৃশ্য করার শিকল।
অন্তঃস্থ আলোককে রুদ্ধ করতে চায়
দারিদ্র্যের অদৃশ্য বাঁধন,
যা বারবার ভাঙতে চায় খুচরা পয়সার ক্ষুদ্র হাত— তবুও জীবন বিস্ফোরিত হয় তুচ্ছতায়।
মানবতার জীবন হয় তখন খুচরো পয়সার মতো, যেখানে স্বপ্ন গলে পড়ে
ক্ষুধার অক্ষরে লেখা গোপন শাস্ত্রে।