ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে দুটি ইউনিয়নকে (আলগী ও হামিরদী) আলাদা করে ফরিদপুর-২ আসনের সাথে যুক্ত করা কেন অসাংবিধানিক নয় এবং সীমানা নির্ধারণী আইনের ৭ ধারা কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে থাকা আইনজীবী জানান, আদালত সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সাথে আরেকটি বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট সেটি হলো—সংবিধানের ১২৫ অনুচ্ছেদ এর ‘ক’ উপনিচ্ছেদে বলা আছে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণের পর কোনো আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। সংবিধানের এই ধারা কেন অবৈধ নয় তা নিয়েও রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী আসন ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। আর ফরিদপুর-২ আসন ছিল নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে। গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
এর প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে ভাঙ্গা মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের এই আন্দোলন পুরো ভাঙ্গা উপজেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এতদিন এই উপজেলার আলগী ও হামিরদীবাসী আন্দোলন করলেও গত সোমবার অন্যান্য ইউনিয়নের মানুষরাও এতে যোগ দেন। সোমবার বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙ্গা থানায় পুলিশের গাড়ি ও উপজেলা পরিষদে ভাঙচুর চালায়।
এরপর সোমবার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে ফরিদপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্ল্যা।
স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙ্গার এই দুটি ইউনিয়ন ভৌগলিক দিক থেকে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) উপজেলা থেকে বহু দূরে। ভোটের আসন বিন্যাসে পরিবর্তন হলে চরম ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
গত ৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয়রা প্রথম রাস্তায় নেমে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। ওই দিন অবরোধ কর্মসূচি থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা ফের অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন।