সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সেজাউল ইসলাম কালা মিয়া (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত সেজাউল উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন ও আটক ৪ জন। পূর্ববিরোধের জেরে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত মো. মজিদ (৩৫), শুভ হাসান (২৫), তানিমকে (২২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- মোছা আলী (৪০), ইমার হোসেন (৩০), নূর আলম (৫০), সাখাওয়াত হোসেন তবারক (৩২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম ও আব্দুল মতিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষে ইতোপূর্বে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সকালে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে গ্রামবাসী সালিশে মীমাংসা করেন। দুপুরে আবারও দুইপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ধারালো সুলফির আঘাতে সেজাউল ইসলাম কালা মিয়া গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। আহত অন্যদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জামালগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. জয়নাল হোসেন জানান, পূর্ববিরোধের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে গ্রামের পরিবেশ শান্ত আছে।