চুরির অপবাদে ঘর থেকে তুলে নেওয়ার পর এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘর থেকে তুলে নেওয়ার পরদিন তার মরদেহ রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। হত্যার পরে তাকে দাফন করা হয়েছে বেওয়ারিশ পরিচয়ে। পরে ঘটনাটি জানাজানির পর ঘর থেকে তুলে নিয়ে ওই কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে তার পরিবার। ওই কিশোরের নাম শুভ আহমেদ (১৪)। তিনি রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের সওদাগর বাড়ির আল-আমিনের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার শ্রীনিধি রেল স্টেশনের অদূরে চান্দেরকান্দি এলাকার রেললাইনে এক কিশোরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর ১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তার পরিচয় না পেয়ে অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহ দাফন করা হয়।
নিহতের চাচা জিল্লুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত সোমবার রাত ৮টার দিকে অলিপুরা ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের তুহিন ও হারুন নামে দুইজন লোক চুরির অপবাদ দিয়ে শুভকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা শুভকে ছাড়েনি। পরদিন মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি দেখে হত্যার ঘটনাটি জানতে পারি।
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, শুভ এতিম ছেলে। ছোটবেলায় তার মা-বাবা মারা যায়। ওই সময় থেকেই আমরা তাকে বড় করেছি। এখন সে হালচাষ করার ট্রাক্টর চালায়। সে ছোট্ট একটি ছেলে, এভাবে তাকে না মেরে আমাদের কাছে বললে আমরা যত টাকা লাগত দিতাম। আমরা শুভর হত্যাকারীদের বিচার চাই।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম বলেন, মরদেহের শরীরে ট্রেনে কাটা পড়ার কোন চিহৃ দেখা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার রাতেই নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন কবরস্থানে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে কবর থেকে লাশ তুলে নিয়ে যেতে অনুমতি দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ওসি মো. আদিল মাহমুদ বলেন, ছেলেটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। তার হত্যার বিষয়টি আমি অবগত নই। আমাদের থানায় কেউ অভিযোগও করেনি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে এবং পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যা মামলা হতে পারে।