গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ নিয়ে রোজিনা বেগম (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
রোজিনা বেগম গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের পশ্চিম বেলকা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী। ওই নারীর শরীরে অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিবাকর বসাক।
রবিবার (৫ অক্টোবর) রাত সোয়া ৯টায় গণমাধ্যমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, শনিবার খুব খারাপ অবস্থায় রোজিনা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তাঁর শরীরে অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ ছিল। অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও ছিল। যেমন হৃদ্রোগ ও ফুসফুসে সমস্যা ছিল। এছাড়া রোগীর রক্তচাপ কমে গিয়েছিল এবং শ্বাসকষ্ট ছিল। পরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
রোজিনা বেগমের বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ জানান, ওই নারীর তিনটি ছাগল ছিল। এর মধ্যে একটি ছোট ছাগল অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ ছাগলটির অবস্থা বেগতিক দেখে ৩০ সেপ্টেম্বর সেটি জবাই করেন। এ সময় তাঁর হাতের আঙুলে ক্ষত হয়। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। এতে কাজ না হলে তাকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। তিনি জানান, রবিবার পারিবারিক কবরস্থানে ওই নারীর দাফন সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রথমদিন আমার কাছে রোজিনা বেগম এসেছিলেন। তখন তার হাতের একটা আঙুলে কালো ফোসকা ছিল। অ্যানথ্রাক্স রোগের জীবাণু থাকতে পারে বলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেই।