কক্সবাজারে এক দিনের ব্যবধানে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পৃথক এই দুই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও চাঞ্চল্য।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালিয়াপালং পুরাতন জামে মসজিদের পাশে গুদারছড়ার মুখ এলাকায় বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. কাশেম জানান, ‘দুপুরে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পাই। পরে কয়েকজন মিলে গিয়ে দেখি, বস্তার ভেতরে মানুষের মরদেহ। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেই।’
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। মরদেহটি অনেকটাই বিকৃত অবস্থায় ছিল। পরনে প্যান্ট ও গেঞ্জি পাওয়া গেছে। পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এর একদিন পর, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজার শহরতলীর লিংক রোড রেল ক্রসিং এলাকার একটি ঝোপ থেকে আরো একটি মরদেহ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে একদল মাদরাসাপড়ুয়া কিশোর ওই স্থানে ফুটবল খেলতে যায়।
এসময় প্রধান সড়কের দক্ষিণ পাশের রেললাইনের অদূরে ঝোপের মধ্যে মরদেহটি দেখতে পায় কিশোররা। পরে বিষয়টি তারা বড়দের জানায়। মরদেহের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে লোকজন ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে খবর দেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মরদেহটি অনেকটা পঁচে গেছে। মনে হচ্ছে চার-পাঁচ দিন আগে মারা গেছে। তবে পকেটে বহু অহেতুক কাগজপত্র রয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে লোকটি মানসিক ভারসাম্যহীন।
সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান বলেন, ‘মরদেহটি অনেকটা পঁচে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে চার-পাঁচ দিন আগে মারা গেছে। পকেটে কিছু কাগজপত্র ছিল, দেখে মনে হচ্ছে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি হতে পারে। পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে।’
টানা দুই দিনে দুটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ দুটি ঘটনাই গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।