সীমানা জটিলতার কারণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলে প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, ‘সীমানা জটিলতার কারণে নির্বাচনের তফসিলে প্রভাব পড়তে পারে। তবে সবই নির্ভর করছে আদালতের সিদ্ধান্ত ও কমিশনের পদক্ষেপের ওপর।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে মোট ৬টি এবং বাগেরহাটে একটি আসন কমিয়ে মোট ৩টি করা হয়।
ইসির এই প্রজ্ঞাপনের বিরোধিতা করে স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনগুলো সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি গঠন করে আন্দোলনে নামে। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি হরতাল, অবরোধ, অবস্থান ও বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে যায়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে আসন সংখ্যা চার থেকে তিনে কমানোর সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
সোমবার সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনই বহাল থাকবে এবং গাজীপুরে একটি আসন কমানো হবে।
উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ইসির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘ইসির অবস্থান হচ্ছে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর কমিশন মিটিংয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেবে, আপিল করা হবে কি না।’
এ সময় ইসি সচিব জানান, আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর ইচ্ছা ইসির। আখতার আহমেদ বলেন, ‘আশা করবো সংলাপে সব রাজনৈতিক দল পজিটিভ রেসপন্স করবে।’