জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বাইরে কোনো বিষয় সরকার চাপিয়ে দিতে চাইলে তা অনৈক্যকে অমীমাংসেয় করে তুলবে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জাসদ। বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সংবিধান সংস্কারের জন্য জাতীয় সংসদে আলোচনার পূর্বে গণভোট অপ্রয়োজনীয়। তারপরও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সর্বসম্মত প্রস্তাবগুলোতে গণভোট নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু এ গণভোট দ্বারা সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না। সংবিধান বিদ্যমান থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রপতির আদেশ জারি করা সংবিধানসম্মত নয় বলেই আমরা মনে করি। প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ দ্বারা গণভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাথে একই সময়ে হতে পারে।’
জাতীয় সংসদকে নতুন নামে অভিহিত ও দ্বৈত সত্তা প্রদান সংবিধানবিরোধী উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কতিপয় দলের অবাস্তব দাবিকে জুলাই সনদ বলে চালিয়ে দেওয়া গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচায়ক নয়। গণভোটের জন্য যেভাবে চারটি প্রশ্নের প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে গণভোটকে হাসিঠাট্টার বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে। আমরা যথাসময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজনকে স্বাগত জানাই। কিন্তু গোঁজামিলপূর্ণ গণভোটকে গ্রহণ করতে পারছি না। নির্বাচন কমিশন আর দেরি না করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে, জাতি সেটাই আশা করে।