বরিশালে হাফ-ভাড়া না নেওয়াকে কেন্দ্র করে বাসশ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শ্রমিকরা। সংঘর্ষ চলাকালে দুপক্ষের অন্তত ৬০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৭টার দিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। ভাঙচুর-সড়কে অগ্নিসংযোগের পর রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মুলাদী থেকে বরিশাল নগরীতে আসার পথে এক শিক্ষার্থীকে হাফ-ভাড়া দিতে চাইলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তুলে নথুল্লাবাদ স্ট্যান্ডে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বাস ভাঙচুর, সড়কে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘটনাস্থলে থাকা বিএম কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, হাফ-ভাড়া আমাদের অধিকার। শনিবার মুলাদী থেকে বরিশাল নগরীতে আসার পথে এক শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিতে চাইলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বাসশ্রমিকরা। খবর পেয়ে আমরা নথুল্লাবাদ স্ট্যান্ডে জড়ো হয়ে শ্রমিকদের বিচার দাবি জানাই। এ সময় আমাদের ওপর বাস শ্রমিকরা হামলা চালায়। এতে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
তবে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কোনো রকম হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পরিবহণ শ্রমিক নেতা আরজু মৃধা বলেন, কলেজ বন্ধের দিনও হাফ-ভাড়া দেওয়া নিয়ে বরিশাল-মুলাদী রুটের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাসশ্রমিকের বিরোধ হয়। এরপর সন্ধ্যায় বিএম কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী এসে নথুল্লাবাদ স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর করে। সেখানে থাকা ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিককে মারধর করে গুরুতর আহত করে তারা।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি মামুন উল ইসলাম বলেন, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিস্তারিত পরে জানানো সম্ভব হবে।