আলোচিত ডেইলি স্টার ভবনে সন্ত্রাসী হামলার দুষ্কৃতকারী আজমির হোসেন আকাশকে (২৭) রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি মনিটর, একটি সিপিইউ, একটি হার্ডডিক্স, তিনটি ক্যাবল, একটি সুইচ অ্যাডাপ্টর ও একটি মাউস উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) র্যাব-৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা ও লুটপাটের সময় আজমির হোসেন আকাশ মনিটর, একটি সিপিইউ, একটি হার্ডডিক্স নিয়ে যান। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্তের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। এ নিয়ে দুই দিনে গ্রেপ্তার করা হয় ২৯ জনকে। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
কুড়াল হাতে উল্লাস করা যুবকের নাম মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম। তাকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ইসলা বাড়ি গ্রামে। থাকেন ঢাকার উত্তরায়।

ছবি : প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার সময় কুড়াল হাতে মাইনুল ইসলাম
আরেক ভিডিওতে যিনি ওই রাতে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে বলছিলেন, তাকেও ডিবি গ্রেপ্তার করে। তিনি কারি মুয়াজ বিন আবদুল রহমান।

ছবি : হামলা ও আগুন দেওয়ার পর প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে হামলাকারীদের একজন মুয়াজ বিন আব্দুল রহমান
পুলিশ জানায়, তিনি যুব মজলিসের শরীয়তপুর জেলা শাখার নেতা। শরীয়তপুর সদর থানার পশ্চিম কান্দি গ্রামে তার বাড়ি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে তিনি বলছিলেন, যেটা ৫ আগস্ট করার কথা ছিল, আমরা পারিনি। আজকে সেটা করেছি হাদি ভাইয়ের অসিলায়।

ছবি :প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামালা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে গ্রেপ্তারকৃতরা
এছাড়া দুটি জাতীয় দৈনিকের কার্যালয়ে হামলার উসকানিদাতা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে আরও অন্তত ২০ জনকে। এর বাইরে ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ছবি : প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার জাকির হোসেন শান্ত
ছবি : প্রথম আলো থেকে নেওয়া