সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ ও দোষী ব্যক্তিদের বিচারসহ আট দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন হিন্দু সম্প্রদায়েরা মানুষেরা। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া চারটার দিকে তাঁরা শাহবাগ অবরোধ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সনাতনী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তারপর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আট দফার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। অবরোধকারীদের ভাষ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টা দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন তাঁরা। তবে দাবি না মানায় আবারও আজ তাঁরা শাহবাগ অবরোধ করলেন।
বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে একটি অংশ বিকেল সোয়া চারটার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। তার কিছুক্ষণ পর সনাতন অধিকার আন্দোলনের নেতৃত্বে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে আরও একটি অংশ শাহবাগে এসে যোগ দেয়।
আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কী তোর বাপ-দাদার’, ‘আমার মাটি আমার মা, বাংলাদেশ ছাড়ব না’, ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘বিশ্বের হিন্দু এক হও এক হও’, ‘আমার মন্দির ভাঙল কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘আমি কে তুমি কে, বাঙালি বাঙালি’ প্রভৃতি।
সনাতন সম্প্রদায়ের আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, দুর্গাপূজায় ছুটি পাঁচ দিন করা।