ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আজ শনিবার সকাল থেকে অধিকাংশ কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকেরা। তবে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কয়েক দিন ধরে বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর মধ্যে আজও ৪৯টি কারখানা বন্ধ রেখেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শ্রম আইনে বন্ধ কারখানার সংখ্যা ৩৬টি। বাকিগুলো উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় বন্ধ রেখেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
শ্রম আইন-২০০৬–এর ১৩ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা বা বিভাগে বেআইনি ধর্মঘটের কারণে মালিক ওই শাখা বা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে পারবেন এবং এমন বন্ধের ক্ষেত্রে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকেরা কোনো মজুরি পাবেন না।
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ জানায়, বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশই তৈরি পোশাক কারখানা। তবে ওষুধ, চামড়াজাতপণ্য প্রস্তুতসহ বিভিন্ন ধরনের কিছু কারখানাও আছে।
আজ সকালে নির্ধারিত সময়ে সাভার, আশুলিয়ার বিভিন্ন শিল্প কারখানায় শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। সকাল থেকেই সড়কে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। বিভিন্ন কারখানার সামনে দায়িত্বপালন করছেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা।
শ্রমিকনেতারা বলছেন, কিছু কারখানায় শ্রমিকদের সঙ্গে দাবি নিয়ে আলোচনা করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বিভিন্ন কারখানার মূল ফটকে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়াসংক্রান্ত নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়ায় কাজে ফিরেছেন শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন বলেন, আজ সকালে বন্ধ থাকা অধিকাংশ পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। অনেক কারখানার সামনে শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি মেনে নিয়ে সে অনুযায়ী মালিকপক্ষ নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছে। দুই-একটি কারখানার শ্রমিকেরা তাঁদের দাবি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন। যেসব কারখানা বন্ধ আছে, সেগুলোর মালিকপক্ষ আন্তরিক হলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১–এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শ্রম আইন ১৩ (১) ধারায় ৮৬টি কারখানা বন্ধ ছিল। আজ একই ধারায় বন্ধ কারখানার সংখ্যা ৩৬টি। এর বাইরে ১৩টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশই তৈরি পোশাক কারখানা। তবে বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে ওষুধ, চামড়াজাতপণ্য প্রস্তুতসহ বিভিন্ন ধরনের কারখানা আছে।