ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘিরে সহিংসতার মধ্যে দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলা, অস্থিরতা সৃষ্টি করে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন ৯৮ জঙ্গি পালিয়ে যান এবং ৫ অগাস্টের পর শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডিত ১৫ হাজার আসামি। মঙ্গলবার বিকালে এমন তথ্য জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন বলেন, জেলখানা থেকে পালানো ৯৮ জঙ্গির ৭০ জনই সাজাপ্রাপ্ত, যাদের বেশিরভাগকে ফের গ্রেপ্তার করা হলেও ২৭ জন অধরা থেকে গেছেন।
কারা অধিদপ্তরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় কারা মহাপরিদর্শক এসব তথ্য তুলে ধরে বলেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের মোট আটটি কারাগারে হামলার ঘটনা ঘটে; যেগুলোর মধ্যে পাঁচটি থেকে বন্দিরা পালাতে পেরিছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে ছাত্রদের আন্দোলনে ছয়জন নিহতের পর পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে থাকে। এরই মধ্যে ঘটতে থাকে কারাগারে হামলা ও কয়েদিদের পালানোর ঘটনা।
নরসিংসদী, শেরপুর, কাশিমপুর, সাতক্ষীরাসহ আরও কয়েকটি কারাগারে হামলা হয়; অস্ত্র লুট করে পালিয়ে যায় জঙ্গিসহ বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডিতরা।
প্রায় দুই হাজারের বেশি বন্দি পালিয়ে গেলও অনেকে নিজে ফিরে এসেছেন, আবার কাউকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে; তবে এখনও ৯০১ জন পলাতক আছেন বলে তথ্য দিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক।
এক প্রশ্নের জবাবে মোতাহের হোসেন বলেন, ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর এক মাসে জঙ্গিসহ ৪৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ৫ অগাস্ট সরকার পতনের আগে কারাগারে প্রায় ৭০ হাজার বন্দি ছিলেন। এক মাসে প্রায় ১৫ হাজার জামিন পাওয়ায় বর্তমানে কারাবন্দির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৫ হাজারে।
মতবিনিময়ের পর জামিনের এই সংখ্যার বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের এআইজি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানতে চাইলে মোতাহের হোসেন বলেন, নিয়মিত জামিন পাওয়া সংখ্যার চেয়ে এই সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি।