খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে অন্তত ৮০টি দোকান ও বসতঘর। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দীঘিনালার লারমা স্কোয়ারে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। তবে কী কারণে ঘটনার সূত্রপাত সে বিষয়ে প্রশাসনের কেউ কিছু জানাতে পারেনি। সংর্ঘষ চলাকালে দুর্বত্তরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে নিউজিল্যান্ড এলাকায় গণপিটুনিতে মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র তার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালা সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশের একপর্যায়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়রা জানান, লারমা স্কোয়ার এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে বুধবার খাগড়াছড়ি সদরে নিহত মামুন হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ চলছিল। বিক্ষোভের একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা লারমা স্কোয়ার এলাকায় অগ্নিসংযোগ করে। লারমা স্কোয়ারে পাহাড়ি-বাঙালির বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কয়েকঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, আগুনে ৮০টির মতো দোকান পুড়ে গেছে। সংর্ঘষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ ৫ জনের মতো আহতের খবর পাওয়া গেছে।
দীঘিনালার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, পরিস্থিতি এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে রয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ায় পাহাড়ি-বাঙালিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।