রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদেক খান আড়তের সামনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নাসির ও মুন্না নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নাসির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে মারা যায় নাসির। অপরদিকে মুন্না সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মারা যায়। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ পুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান।
নাসিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা শাওন আহমেদ বলেন, তিনি ও নাসির দুজনে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন নাসির তাকে তিন রাস্তার মোড়ে নামিয়ে দিতে বলে। সাদেক খান আড়তের সামনে থেকে তিন রাস্তার মোড়ে যাওয়ার সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে একটি গ্রুপকে আসতে দেখেন তিনি। পরে তারা নাসিরকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। নাসিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায় সে।
জানা গেছে, নাসিরের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার পশ্চিম বালিগ্রামে। বর্তমানে নাসির হাজারীবাগ রায়েরবাজার বাড়ৈই খালী ১২ নম্বর রোডে থাকতেন। তিন বোন-পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে নাসির চতুর্থ। আর মুন্না হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালীতে। তার বাবার নাম বাবুল হাওলাদার। তিনিও রায়েরবাজারের বাড়ৈই খালী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মাসুদ আলম বলেন, মোহাম্মদপুর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় নাসির নামে এক যুবককে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে মারা যায় সে। বিষয়টি মো.পুর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।