ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্র শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের রাজনীতি নিয়ে ১০ ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর। এতে ক্যাম্পাসের অন্যান্য বিষয়েও আলোচনায় এসেছে। শনিবার সকাল থেকে উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে দুই দফায় দশটি সংগঠন অংশ নেয়। ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজনীতি বন্ধ না করে সংস্কার এবং ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি। তারা শুধু সবার প্রস্তাব শুনেছেন।
এতে সকাল ১১টায় গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহ্বায়ক কমিটির সাজেদুল ইসলাম ও প্রজ্ঞা চৌধুরী, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের পক্ষ থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আতিক চৌধুরী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাইম উদ্দিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আদনান আজিজ এবং ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কাইয়ুম ও সাহিত্য সম্পাদক রেজাউল করিম শাকিল বৈঠকে অংশ নেন।
এরপর দুপুর ২টায় ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সরকার ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঢাবি শাখার সাপতি ইয়াছিন আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাবি শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা ও সাধারণ সম্পাদক সামি আব্দুল্লাহ; ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ; সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) ঢাবি শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদিক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক; সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) ঢাবি শাখার সভাপতি সুহাইল আহমেদ শুভ প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলছে।
মতবিনিময় সভায় আরও যেসব বিষয়ে আলোচনা হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-কোনও অজুহাতেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না, সব সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করা, মধুর ক্যান্টিনে কোনও স্লোগান দেওয়া যাবে না, অ্যাকাডেমিক পরিসরে ক্লাসরুমের সংখ্যা বাড়ানো, ছাত্র দ্বারা শিক্ষক মূল্যায়ন চালু, আধুনিক পাঞ্চকার্ডের মাধ্যমে প্রবেশের ব্যবস্থা করে লাইব্রেরি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, শিক্ষার্থীদের বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত কক্ষ (কমন রুম) বরাদ্দ দেওয়া, এমফিল, পিএইচডিসহ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করতে আগ্রহীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করা, গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, নারীদের হলে প্রবেশের সময়সীমা আলোচনার মাধ্যমে বাড়ানো, গবেষণা ও ফিল্ডওয়ার্ক বাবদ শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত অ্যালায়েন্স দেওয়া, শিক্ষক নিয়োগ, সিনেট, সিন্ডিকেট সভা ও যৌন নির্যাতন নিরোধ সেল গঠন, বিভিন্ন ক্যান্টিনে কম দামে মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করা, ক্যাম্পাসকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি।