লেবাননে গত সোমবার দখলদার ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫০ শিশু, ৯৪ নারী ও চার উদ্ধারকর্মী আছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া দখলদার ইসরায়েল লেবাননের ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের ট্রাকেও হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আহত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৫ জন।
পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত ও প্রায় দুই হাজার আহত হওয়া ছাড়াও বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন ১৬ হাজার ৫০০ সাধারণ মানুষ। তাদের বেশিরভাগই দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা।
বাস্তুচ্যুত এসব মানুষকে ১৫০টি স্কুলে তৈরি করা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন লেবাননের মন্ত্রী।
এদিকে আজ মঙ্গলবারও লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন, সোমবার লেবাননের ১ হাজার ৬০০ বাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। যেগুলোতে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এতে পরেরদিন ৮ অক্টোবর যোগ দেয় লেবাননের হিজবুল্লাহ। তারা এতদিন ধরে দখলদার ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে রকেট হামলা চালিয়ে আসছিল। এর জবাবে ইসরায়েলও খুবই সীমিত পরিসরে লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালাচ্ছিল।
কিন্তু গত সপ্তাহে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন হিজবুল্লাহকে সীমান্ত থেকে হটিয়ে তারা তাদের অবৈধ বসতিতে ইসরায়েলিদের ফেরাবেন। এরপরই লেবাননের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গতকাল সোমবার ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা।
এছাড়া লেবাননের রাজধানী বৈরুতেও একাধিক হামলা চালিয়েছে তারা। এতে অনেক মানুষ ভয়ে বৈরুত ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।