গোপালপুরে ইজারা নেওয়া সরকারি খাস পুকুর প্রভাব খাটিয়ে দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
হেমনগর ইউনিয়নের শিমলাপাড়ার রাজবাড়ীর বড় পুকুর, রাজবাড়ীর ভেতর পুকুর, দাসপাড়া পুকুর, কাহেতা গাংছাড়া বিল, হেমনগর হাইস্কুল পুকুর ও হেমনগর বাজার পশ্চিম পুকুর দখল করে জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে গেছে। এই দখলে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মানিক হোসেন, মফিজুল ইসলাম, শিশির, শাকিল হোসেন, গিয়াস ও গোলাম রাব্বানী। এরা সবাই হেমনগর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে।
গোপালপুর পৌর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সেকান্দর আলীর দেয়া অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার শিমলাপাড়া মৌজার ৭০২ নং দাগের ৬৭ শতাংশ বাসনমাজা পুকুরটি তিনি ৩ বছরের জন্য ইজারা নেন। ইজারা নেওয়ার পর তিনি পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরদিনই ৬ আগস্ট থেকে শিমলাপাড়ার হারুন অর রশিদ হাফিজুর ও হাবিবুর তার লোকজন দিয়ে পুকুরে যেতে বাধা দিচ্ছেন। এছাড়া পুকুরটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা চলমান রয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সরকার পতনের পরই হেমনগরের ৬টি পুকুর দখলের চেষ্টা করছে মানিক, মফিজুল শিশিরসহ বেশ কয়েকজন। তারা জোটভুক্ত হয়ে প্রভাব খাটিয়ে পুকুর দখল করছে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বিভিন্নস্থানে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পুকুর ইজারাদার সেকান্দর আলী জানান, ১৪ আগস্ট হারুনদের নেতৃত্বে তার লোকজন পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরার চেষ্টা করে। সেটি বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়দের বিষয়টি জানানো হয়। পরে তারা চলে যাওয়ার সময়ও হুমকি দিয়ে যায়। যাতে আমি পুকুরে মাছ না ধরি। ঘটনাটির বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
হেমনগরের শিমলাপাড়ার বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য সেকান্দর আলী বলেন, ইজারা নেওয়ার পরও পুকুরের মাছ জোরপূর্বক ধরে নিয়েছে দখলকারীরা। দখলকারীরা সবাই বিএনপির নেতাকর্মী। শুধু তাই নয় পুকুর মালিকদের পুকুরে যেতে দিচ্ছে না। মাছ ধরে পুকুরে নতুনভাবে পোনা ছেড়েছে দখলকারীরা।