ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শিশু সন্তানকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্বামীর কাছে ভিডিও পাঠিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ সম্পর্কিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামে মঙ্গলবার এ ঘটনাটি ঘটেছে।
শিশুটির বাবা বৃহস্পতিবার নাসিরনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল কাদের নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আড়াই বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের আলী হোসেন মেয়ে সরুফা আক্তারের সঙ্গে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে তুষারের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ফাতেমা আক্তার নামে ১৮ মাসের একটি শিশুসন্তান রয়েছে। বিয়ের আড়াই বছর সংসার করার পর সরুফা আর তুষারের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বৈরিতা শুরু হয়। এরপর সরুফা তার বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। কিছু দিন ধরে স্বামীকে টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন স্ত্রী সরুফা।
স্বামী তুষারের অভিযোগ, স্ত্রী সরুফা তার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। তুষার টাকা পাঠাতে অস্বীকার করলে শিশুসন্তানের একটি ভিডিও তার ইমুতে পাঠায় সরুফা।
সেখানে দেখা যায়, শিশুটির মুখ কালো কাপড়ে বাঁধা, একটি রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে শিশুটি বাঁধা রয়েছে। বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছে। স্বামী তুষারের অভিযোগ এ ভিডিও পাঠিয়ে স্ত্রী সরুফা বলেন, টাকা না দিলে শিশুতে হত্যা করে তুষারকে জেলে পাঠানো হবে।
শিশুটির বাবা তুষার মিয়া জানান, ভিডিওটি করে সরুফা আমার ইমুতে পাঠাইছে, বলছে এইটাই শেষ না আরও দেখবি। আমার সন্তানের এমন ভিডিও দেখে আমি ইব্রাহিমপুরে ছুটে এসেছি।
শিশুটির মামা কামরুল জানান, ভিডিওটি দেখে মনে হয়েছিল এটি টিকটক হবে। পরে দেখি এটি আমার ভাগ্নি। একটি শিশুর সঙ্গে এমন ঘটনা আসলে দুঃখজনক।
নাসিরনগর থানার ওসি আব্দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। এটি পারিবারিক বিরোধের কারণে হতে পারে।