গুলি, নাকি মাথায় আঘাত- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে চলছে বিতর্ক। লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলছেন, গুলির জখমে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণই তার মৃত্যুর কারণ। কিন্তু তার করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এর সপক্ষে যুক্তি খুঁজে না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন আরেকজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। অন্যদিকে আবু সাঈদকে গুলিবর্ষণের ভিডিও বিশ্লেষণ করে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, সেখানে ছররা গুলি ছোড়া হয়েছিল এবং তাতে কেউ জখম হলেও তা মৃত্যুর কারণ হবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় নিহত হন আবু সাঈদ। এই গণঅভ্যুত্থানে তিনি প্রথম শহীদ হিসাবে পূজিত হচ্ছেন।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ (২২) ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রংপুর নগরীতে মিছিল বের করে ৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গেলে আবু সাঈদ সেই মিছিলে যোগ দেন। এসময় ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে অবস্থান নিয়ে পুলিশ গুলি ও রবার বুলেট ছুড়ে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সাঈদ একাই অবিচল দাঁড়িয়ে থাকেন। এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আবু সাঈদকে মৃত ঘোষণা করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তখন বলেছিলেন, তার দেহে ছররা গুলির অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদের ছবি ও ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। এই তরুণের ছবি ঘুরতে থাকে ফেইসবুকে ওয়ালে ওয়ালে, গ্রাফিতিতে। আন্দোলনের তীব্রতায় আরও কয়েকশ মানুষের প্রাণহানির পর গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে সরকারের।
সেই ঘটনার যে ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছিল, তাতে দেখা যায়, একটি লাঠি ডান হাতে নিয়ে আবু সাঈদ পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন একাই। পুলিশ গুলি ছুড়ছিল, হাত আর লাঠি দিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে বসে পড়েন তিনি, তখন আরেক তরুণ এগিয়ে এসে তাকে ধরেন। পরে আরও তিনজন এগিয়ে এসে তাকে পাঁজা কোলে করে তুলে নিয়ে যায়।
তার আগের আরেকটি ভিডিওতে আবু সাঈদকে পুলিশের সঙ্গে লাঠালাঠি করতে দেখা যায়। পুলিশ সদস্য তাকে লাঠিপেটা করতে গেলে তিনিও পাল্টা লাঠি চালান। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা পিছু হটে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের দিকে গেলে আবু সাঈদ রাস্তায় উঠে আসেন। তখন তার মাথার পেছনে ঘাড় ছিল রক্তাক্ত। তার ডান হাতে লাঠি ছিল।
দুটি ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, লাঠালাঠির ঘটনার পরই সড়কে পুলিশকে মোকাবেলায় দাঁড়িয়েছিলেন আবু সাঈদ।
ঘটনার প্রায় এক মাস পর গত ৩০ জুলাই রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন রংপুর মহানগর পুলিশের কাছে দাখিল করা হয়, তা আদালতেও জমা পড়েছে এর মধ্যে।
সম্প্রতি সেই প্রতিবেদন সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা ওঠে যে, গুলি নয়, মাথায় ভোতা অস্ত্রের জখমই আবু সাঈদের মৃত্যুর কারণ। মাথায় আঘাত কে করেছিল, তাও হয়ে ওঠে আলোচনার বিষয়বস্তু।
এই তরুণের লাশের ময়নাতদন্ত করেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজিবুল ইসলাম। সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন এই চিকিৎসক।
ডা. রাজিব বুধবার সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে অনেক কথা বলছেন, সেগুলো বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
“বিষয়টি বর্তমানে সাবজুডিস (বিচারাধীন) অবস্থায় রয়েছে। কেউ কেউ উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছে এনিয়ে। কিন্তু স্পষ্ট করে বলতে চাই, সাঈদের শরীরে অসংখ্য পিলেট (ছররা) ঢুকেছে, তার পুরো শরীর ফোঁড়া ফোঁড়া আঘাত ছিল। এবং সেটা করা হয়েছে খুব কাছ থেকে।”
ছররা গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় কি না- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “ফরেনসিকে তিনটি ধাপ ধরে আমরা সিদ্ধান্তে আসি। ১০ মিটার, ২০ মিটার এবং ৩০ মিটার রেঞ্জের মধ্যে থেকে গুলি করা।
“সাঈদকে খুব কাছ থেকে অর্থাৎ ১০ মিটার দূরত্বের মধ্যে থেকে গুলি করা হয়েছে। আর ১০ মিটারের দূরত্বই জীবনঘাতী। যার কারণে ছররা গুলি হলেও গুলি যেখান যেখান দিয়ে ভেতরে ঢুকেছে, সেখানে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।”
আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর তার নামে রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফটকের নামকরণ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
ডা. রাজিবের করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেখিয়ে ঢাকার একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধানের মন্তব্য জানতে চেয়েছিল সকাল সন্ধ্যা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই অধ্যাপক বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তিনটি কারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে মাথায় আঘাত, যার কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে। সেই আঘাত হচ্ছে থেতলানো জখম; ভোতা কোনও অস্ত্রের আঘাত।
ভোতা অস্ত্র কী ধরনের হতে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইট, পাথর বা লাঠির আঘাত হতে পারে।
দ্বিতীয় কারণ হিসাবে ছররা গুলির জখমের কথা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে এই ছররা গুলির কারণে মৃত্যু হতে পারে না। বুলেট হলে সেটা সম্ভব হতো।”
তৃতীয় কারণ হিসাবে মাথার পেছনে বাম দিকে একটি জখমের কথা আছে প্রতিবেদনে, যে জখমের দৈর্ঘ্য তিন ইঞ্চি আর প্রস্থ দেড় ইঞ্চি।
“এই তিন কারণের ভিত্তিতে তার কজ অব ডেথ অর্থাৎ মৃত্যুর কারণ হিসাবে শক এবং হেমোরেজ অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ফলে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে বলে বলা হচ্ছে,” বলেন এই অধ্যাপক।
ময়নাতদন্ত বিশ্লেষণ করে তিনি উপসংহার টানছেন, “মনে হচ্ছে, মেইনলি মাথায় রক্তক্ষরণ দায়ী তার মৃত্যুর জন্য।
কিন্তু ডা. রাজীব ছররা গুলিকে মৃত্যুর কারণ হিসাবে দেখাচ্ছেন- একথা বলা হলে এই অধ্যাপক বলেন, “বুলেটের কারণে যদি হতো, তাহলে সেটা লেখা থাকত। আন্দোলনের সময়ে অনেক মানুষের কজ অব ডেথ-এ গানশট ইনজুরি লেখা দেখেছি আমরা। এখানে সেরকম লেখা নেই। বুলেট হলে কোনও অর্গানে যাবে, সেটাও লেখা থাকবে।”
তিনি বলেন, “এই প্রতিবেদন (ময়নাতদন্ত) কোর্টে (বিচারের জন্য) গেলে ধরা খাবে। এটা টিকবে না।”
“তবে প্রতিবেদনে চারপাশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটাও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে,” যোগ করেন তিনি।
এবিষয়ে ময়নাতদন্তকারী ডা. রাজিব বলেন, “প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি, গুলির কারণে আবু সাঈদের মাল্টিপল পিলেট ইনজুরি হয়েছে, মাথায় পিলেটের আঘাত রয়েছে। কিন্তু কোথাও হেড ইনজুরির কথা উল্লেখ করা হয়নি। হেড ইনজুরি হলে ব্রেইনে ইন্ট্রাকটেনিয়াল হেমারেজ হয় এবং হাড় কিংবা খুলির ফ্র্যাকচার থাকে। কিন্তু আপনারা প্রতিবেদনটা আবার দেখেন, সেখানে এ ধরনের কিছু কিন্তু আমরা লিখিনি।
“পিলেটগুলো তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ঢুকেছে, মাল্টিপল অর্গানে আঘাত করেছে, রক্তক্ষরণ হয়েছে। সে শক এবং হেমারেজের কারণে মারা গেছে। গুলির কারণে মাল্টিপল অর্গান হেমোরেজে সাঈদের মৃত্যু হয়েছে।”
তিনি বলেন, “পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে কিন্তু আমরা হোমিসাইডাল লিখেছি অর্থাৎ এটা হত্যাকাণ্ড। রিপোর্টটা তো ছড়িয়ে পড়েছে, হোমিসাইডাল কথাটা খুব ব্রড হেডিংয়ে লেখা হয়েছে।
“সেখানে আরও একটা কথা বলা হয়েছে। প্লিজ কনসিডার দ্য সারকামস্টেনসিয়াল এভিডেন্স। এই পারিপার্শ্বিক অবস্থাও কিন্তু আপনাকে বিবেচনায় নিতে হবে। ওনাকে গুলি করার পর উদ্ধার করে আনা হয়েছে।”
আদালতকে সন্তুষ্ট করার মতো ব্যাখ্যা তার কাছে রয়েছে দাবি করে ডা. রাজীব বলেন, “আমি খুব ক্লিয়ারলি বলছি, এটা বিচারাধীন বিষয়। হয়ত আর কিছুদিনের মধ্যেই আমাকে কোর্টে যেতে হবে; সেখানে আমিই সাক্ষ্য দেব। কোর্টে ব্যাখ্যা দেবার মতো অনেক এভিডেন্স আমার কাছে রয়েছে।”
আবু সাঈদের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নিয়ে সকাল সন্ধ্যা একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার মন্তব্য চেয়েছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই পুলিশ কর্মকর্তা সেদিনের ভিডিও ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেখে তার পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছররা গুলি দুই ধরনের হয়। একটা রবার বুলেট, আরেকটা সীসার বুলেট। তবে যেটারই হোক না কেন, ছররা গুলি মানুষের শরীরে ঢুকে বের হয়ে যাবে, এমনটা হয় না।
আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে আসা এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যদি সর্বোচ্চ রেঞ্জের (১০ মিটারের কম দূরত্বে) কাছ থেকেও ছররা গুলি করা হয়, তাহলেও কারও মৃত্যু হওয়ার কথা নয়। এক্ষেত্রে সীসার বুলেট হলে সে একটু বেশি বা গুরুতর আহত হওয়ার কথা, আর রবার বুলেট হলে তুলনামূলক কম আহত হবে।
আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে তিনি বলেন, “মনে হয়েছে তাকে ১০ মিটারেরও বেশি দূর থেকে গুলি করা হয়েছে। তাই শুধু এই গুলির আঘাতেই আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে, সেটা কখনোই বিশ্বাসযোগ্য নয়।”
সেদিনের আরেকটি ভিডিওর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “ওইদিন গুলি লাগার আগ মুহূর্তে পুলিশের সঙ্গে আবু সাঈদের মারামারির করার একটি ভিডিও আছে। ভিডিওটি খেয়াল করলে দেখা যায়, সেই সময়ই তার মাথা থেকে রক্ত বের হয়ে ঘাড় বেয়ে নামছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে, শরীরে গুলি লাগার আগেই মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন আবু সাঈদ।
“এরপর আবার ছররা গুলি লাগে তার। গুলি লাগার পর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তার বন্ধুরা। এরপর তাকে হাসপাতালে নিতে কত সময় লেগেছে, সেটার ওপরও মৃত্যুর কারণ নির্ভর করে।”
এই পুলিশ কর্মকর্তা উপসংহার টানেন এভাবে- “আমার মতে পুলিশের ছররা গুলি আবু সাঈদের মৃত্যুর একমাত্র কারণ নয়। ছররা গুলিতে যদি কারও প্রাণ নিতে হয়, তাহলে তার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করতে হবে। আর আবু সাঈদের মৃত্যুর সময় যে সিচুয়েশন ছিল, সেই সিচুয়নে কখনও টার্গেট কিলিং হয় না, হুট করে ঘটে যায়।”
আওয়ামী লীগ সরকার আমলে আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর পুলিশ একটি মামলা করেছিল। গত ১৭ জুলাই করা সেই মামলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরই আসামি করা হয়।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৮ আগস্ট রংপুরের আদালতে হত্যা মামলা করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। ওই মামলায় আসামি হিসাবে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তার মধ্যে তৎকালীন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানের নামও রয়েছে। এছাড়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামিম মাহফুজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমানকেও আসামি করা হয়। আদালত মামলা দুটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে দায়িত্ব দিয়েছে।
আবু সাঈদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান আবু সাঈদ টিউশনি করিয়ে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন। নয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম।
‘বাবনপুর স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সংগঠনে তিনি যুক্ত ছিলেন। তার কোনও রাজনৈতিক সংগঠনে সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া যায়নি। তবে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর শোক জানিয়ে তার একটি ফেইসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট সোশাল মিডিয়ায় এসেছিল।
সূত্র : সকাল সন্ধ্যা