মাহফুজ আনাম আসল নাম, এ নাম জানেন না অনেকেই। তিনি একজন কিংবদন্তি রকস্টার, জেমস নামেই আমাদের হৃদয়ে তার অবস্থান। জেমস শোনার সঙ্গে সঙ্গে ‘গুরু’, ‘নগর বাউল’, ‘দেশসেরা রকস্টার’, ‘সংগীত মহিরুহ’- অনেক বিশেষণেই ভক্তরা চিনেন এ জীবন্ত কিংবদন্তিকে। চিনে নেওয়ার জন্য তার কণ্ঠস্বরই যথেষ্ট। যে কণ্ঠ থেকে ঝরে পড়ে দ্রোহ, প্রেম, ভালোবাসা, অভিমান, ক্ষোভ তথা জীবনবোধের না বলা সুর।
‘তারায় তারায় রটিয়ে দেব’, ‘মা’, ‘বাবা’, ‘বাংলাদেশ’, ‘জেল থেকে বলছি’, ‘কত কষ্টে আছি’, ‘বাংলার লাঠিয়াল’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’, ‘তুমি জানলে না’, ‘গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া’, ‘হতেও পারে এই দেখা শেষ দেখা’, ‘যেদিন বন্ধু চলে যাব’, ‘পথের বাপই বাপরে মনা’, ‘লেইস ফিতা লেইস’, ‘চিরটা কাল সঙ্গে রব’, ‘অবশেষে জেনেছি মানুষ একা’, ‘উঠেছে তুফান’, ‘সেলাই দিদিমণি’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘নাগরালী’, ‘ফুল নেবে না অশ্রু’সহ কালজয়ী এসব গানের স্রষ্টা ও শিল্পী জেমসের জন্মদিন আজ।
বিশেষ এই দিনে রক্তদান কর্মসূচি ও দোয়া মাহফিল ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কেক কেটে গান-আড্ডার আয়োজন করতে দেখা গেছে তার ফ্যান ক্লাবের সদস্যদের। আর নিয়মিত বিষয়ে হয়ে গেছে, কার্ড, ফোন কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রিয় শিল্পীর সঙ্গে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা বিনিময়, স্মৃতিচারণ, গান ও গায়কি নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করা। কিন্তু দেশের বাইরে নগর বাউল জেমসের শো থাকায় এবার প্রিয় শিল্পীর জন্মদিনে ব্যতিক্রমী কিছু করার সুযোগ পাচ্ছেন না অনুরাগীরা। জেমস তার ভক্তদের উদ্দেশে ছুড়ে দিয়েছেন একমুঠো ভালোবাসা। যার মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সংগীতপ্রেমীদের জন্যই তাঁর এই শিল্পী জীবন। তাদের আহ্বানে সাড়া দেবেন সব সময়, গানে গানে ফিরে আসতে চান তাদেরই মাঝে। ঠিক তাঁর অ্যালবামের বার্তায় যেভাবে বলেছিলেন–
‘আমি ছিলাম, আমি আছি; আমি থাকব।
মনে রেখো– আমার জন্মের শেষ নাই।
আজ যদি আমি দেহ ত্যাগ করি,
নয় মাস পর আবার তোমাদের গর্ভে
জন্ম নেব, জন্ম নেব; জন্ম নেব …
মনে রেখো– আমার জন্মের কোনো শেষ নাই।