পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত যুবকদের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কেলিক কটন মিলের সামনে থেকে তাকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মারধর করা হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতার নাম জহির রায়হান (২৪)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বাসিন্দা তিনি।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতার বন্ধুরা জানায়, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় জহির রায়হান পরীক্ষা দিয়ে মেসে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গেট থেকে অটোরিকশায় ওঠেন। পথে ক্যালিকো কটন মিল এলাকায় গেলে সেখান থেকে তাকে কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লাঠি, হকস্টিক দিয়ে হাতে, পায়ে, পিঠে মারধর করে। পরে তার বাসায় ফোন দিয়ে বিকাশে দশ হাজার টাকা এনে এবং তার স্মার্টফোন নিয়ে তাকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে যারা মারধর করেছে তাদেরকে চিনতে পারেনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতার সহপাঠীরা আরও জানান, এর আগে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন জহিরকে মারধর করে ছেড়ে দেয়। তারা তাকে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসার জন্য হুঁশিয়ারি দেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা জহির রায়হান বলেন, আমার জীবন এই মুহূর্তে হুমকির মুখে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাচ্ছি।
এই ঘটনার পর পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা জহির রায়হানকে দেখতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. রাশেদুল হক এবং বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ।