মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরান ও রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান জোট পশ্চিমাদের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় রাশিয়াকে ইরান সহযোগিতা করার পর থেকে এই জোটের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরান-রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা পশ্চিমা বিশ্বকে নতুনভাবে শঙ্কিত করছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এসব কথা উঠে এসেছে।
ইরান ও রাশিয়া একসময় আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। কিন্তু গত কয়েখ বছরে তারা সেই পুরোনো বৈরিতা ভুলে একযোগে পশ্চিমাদের মোকাবিলায় মনোযোগ দিচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের মধ্যে আসন্ন বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কের এক নতুন প্রতীক হিসেবে উঠে এসেছে। তারা তুর্কমেনিস্তানে প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি ইরানি প্রেসিডেন্ট শিগগিরই রাশিয়া সফর করবেন।
পশ্চিমা দেশগুলো ইরানকে অভিযুক্ত করেছে যে তারা রাশিয়াকে প্রাণঘাতী ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে। যা ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্রের অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। কম দামে সহজলভ্য অস্ত্র হওয়ার কারণে তা ইউক্রেনে রুশ আক্রমণকে সহজতর করছে। ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার উত্তেজনায় এই জোট আরও মজবুত হয়ে উঠতে পারে। কারণ উভয় দেশ আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়ার পর থেকে একে অপরের সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল।