বিশ্ববিদ্যালয়ে মতো বিশাল পরিমণ্ডলে রাজনীতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সৃজনশীলতার অবাধ চর্চার সুযোগ থাকবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের দর্শন, ভাষা আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্ররাজনীতির ভূমিকা ছিল। এ ঐতিহ্য থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সবসময় মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া যেকোনো ন্যায়সংঙ্গত আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বড় ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু কেন বুয়েট মুক্তিযুদ্ধের চেতানা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে?
বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করলেও ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরের মতো সংগঠনগুলো কমিটি গঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ২০২০ সালের ২৪ জুলাই বুয়েটে সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রশিবিরের ও হিজবুত তাহরীরের বিরুদ্ধে। কেন অল্প সময়ের নোটিসে জাতির জনকের জন্য দোয়া অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করতে জড়ো হতে পারলেও, শোক দিবসের কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারে না এ স্বঘোষিত সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা? প্রশ্ন উঠেছে, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের ধুয়া তুলে কৌশলে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বুয়েট দখল করছে না তো?
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রলীগ। সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বুয়েট শহিদ মিনারসংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। অপরদিকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ রবিবার সকাল ৭টা থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও অবস্থান নেননি তারা। আজ রবিবার (৩১ মার্চ) নির্দিষ্ট সময়ের কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোথাও অবস্থান নিতে দেখা যায়নি আন্দোলনকারীদের। তবে ক্লাস ও টার্ম পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বুয়েট উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যে দাবি করেছে, সেটা সঠিক না বেঠিক, সত্য কি না, তা যাচাই করতে হবে বলে মন্তব্য।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে একটা অপরাজনীতি-জঙ্গিবাদের কারখানায় রূপান্তরিত করা হবে, পরিণত করা হবে- এটা যাতে না হয়। আমরা তদন্ত করে দেখছি- এমন মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শহিদ মিনারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর, জেএমবি ও ছাত্র শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দেয়ালে পোস্টার লাগাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের দাওয়াত দিচ্ছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে শিবির দেশবিরোধী মিটিং করছে। তাই বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত একটি নাটক। এই নাটক বন্ধ করতে হবে। বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হবে।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ইমতিয়াজ রাব্বি যদি একা স্বাধীনতার স্বপক্ষে লড়াই করে আমরা তার পক্ষে লড়াই করবো। সংবিধান সমাবেশের স্বাধীনতা, সংগঠন করা স্বাধীনতা দিয়েছে। যারা সংবিধানবিরোধী সিদ্ধান্ত দিয়েছে তাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই আজকে আমরা শহিদ মিনারে হাজির হয়েছি। আমরা দাবি জানাই, বুয়েটসহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট ফিরিয়ে দিয়ে তাকে সসম্মানে বরণ করে নিতে হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হন।
সমাবেশে উপস্থিত হন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম (বাপ্পি), সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এর আগে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সমাবেশের বিষয়ে জানানো হয়, বুয়েট কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্রকামী মানুষ ও ছাত্রসমাজ চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েট প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে একটি অন্যায্য, অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। মূলধারার প্রকাশ্য ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বুয়েটকে দেশ ও বিশ্ব মানবতাবিরোধী, নিষিদ্ধ, অন্ধকার জগতের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার তীর্থস্থানে পরিণত করা হয়েছে।
এদিকে দুপুর আড়াইটার দিকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বুয়েট শহিদ মিনারসংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। ফুল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বুয়েট ত্যাগ করেন তারা। তবে এসময় প্রশাসন থেকে বুয়েটের মূল ফটক এবং বিভিন্ন হলের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্থান ত্যাগ করলেও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা এরপরও বুয়েট শহিদ মিনারে ফুল দেন এবং ছবি তুলেন।
অপরদিকে, মধ্যরাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রবেশের প্রতিবাদে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। তার অংশ হিসেবে রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও অবস্থান নেননি তারা। আজ রবিবার (৩১ মার্চ) নির্দিষ্ট সময়ের কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোথাও অবস্থান নিতে দেখা যায়নি আন্দোলনকারীদের। তবে ক্লাস ও টার্ম পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা আজ কোনও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি না। তবে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলছে। আন্দোলনের বিষয়ে বিকালে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। কখন করা হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, মেধার রাজনীতির চর্চা না হলে, মুক্তচিন্তার চর্চা না হলে আমাদের চারদিক দিয়ে বিপদ আসবে। বুয়েটে কেন ছাত্ররাজনীতির চর্চা থাকবে না? তাহলে কি তলে তলে বুয়েট সাম্প্রদায়িকতার চর্চার অভয়াশ্রমে পরিণত হতে যাচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও মুক্তচিন্তার প্রাণকেন্দ্র, এখান থেকে জীবনাদর্শনের মূল শিক্ষাটাও নিতে হয়। বুয়েটকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো করে তৈরি করলে এখান থেকে দেশের মানুষ কী প্রত্যাশা করবে? তাছাড়া আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্ক না হলে কী করে মেধা ও সৃজনশীলতার চর্চা হবে?
বুয়েটের হলে গিয়ে একসময় আমরা রাতের খাবার খেতাম, বুয়েটের শিক্ষার্থীর সঙ্গে মিশতাম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একই আলো-বাতাসের মধ্যে বিচরণ করে, শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়। কাজেই কেন বুয়েটকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো করে রাখতে হবে? তবে, যেকোনো হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তিদের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক- এই নীতিতে আমি অটল। তাছাড়া হত্যা, যুদ্ধ, ধর্ষণ, সাম্প্রদায়িকতা- এসব ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত অপরাধের সঙ্গে আমি কখনও আপস করি না।
বুয়েট উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যে দাবি করেছে, সেটা সঠিক না বেঠিক, সত্য কি না, তা যাচাই করতে হবে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা যাচাই করবে। তথ্য সংগ্রহ করবে, ঘটনা সত্যি কি না। যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু কেউ অপরাধ না করলে তাহলেও ব্যবস্থা নিতে হবে। সুতরাং সঠিক তথ্য জানার জন্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাস না হওয়া পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। আজ রোববার দুপুরে বুয়েটে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি রাজনীতি করি, সেজন্য বুয়েটে আমি যেতে পারব না? এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নিয়ম? আজ রোববার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে একটা অপরাজনীতি-জঙ্গিবাদের কারখানায় রূপান্তরিত করা হবে, পরিণত করা হবে- এটা যাতে না হয়। আমরা তদন্ত করে দেখছি, এ ধরনের কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।
,২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। এরপরও গত বুধবার মধ্যরাতের পর ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন, রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গত শুক্রবার বেলা আড়াইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন। গতকাল তাঁরা পরীক্ষা বর্জন করে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি
১. শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে লিখিতভাবে ইমতিয়াজ রাব্বির স্থায়ী একাডেমিক বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে৷
২. একই ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে জড়িত এ. এস. এম. আনাস ফেরদৌস, মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল, অনিরুদ্ধ মজুমদার, জাহিরুল ইসলাম ইমন এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদিন রিফাতকে বুয়েট থেকে একাডেমিকভাবে স্থায়ী এবং হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে৷
৩. বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তি যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন-কীভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল এ ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের কাছ থেকে লিখিত নোটিশ এবং বাস্তবায়ন৷
৪. নিরাপত্তার জন্য রাত সাড়ে ১০টার পর সব ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসে থাকা নিষেধ এবং যেকোনো প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের রাত সাড়ে দশটার বেশি সময় ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হলে সেক্ষেত্রে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের (ডিএসডাব্লিও) অনুমতির প্রয়োজন পড়ে৷ তাহলে বহিরাগতদের অনুমতি দেওয়া না-ই হয়ে থাকে, তাহলে ডিএসডাব্লিওর প্রটোকল ভেঙে বহিরাগতরা মধ্যরাতে সেমিনার রুমে মিটিং করতে সক্ষম হয়েছে কীভাবে? এক্ষেত্রে ডিএসডাব্লিও নিজের প্রটোকল অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ, এ দায় স্বীকার করতে হবে৷
৫. শনিবারে টার্ম ফাইনাল আমরা বর্জন করছি এবং রোববারের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন৷
৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে৷