বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারী, হত্যার ইন্ধনদাতা ও নির্দেশ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬৯৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৭৪ জন প্রভাবশালীসহ তিন হাজার ১৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব জঘন্য ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তৎকালীন সরকারি দলের নেতৃত্বস্থানীয় হাই-প্রোফাইল ৭৪ জনসহ চলতি অক্টোবরেই মোট তিন হাজার ১৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান রয়েছে।
গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তিন দিন পর গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে থাকা অন্যদলগুলোর নেতাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজনীতিবিদদের বাইরে সাবেক মুখ্য সচিবসহ একাধিক সাবেক সচিব, পুলিশের আইজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
অভিযান অব্যাহত থাকার কথা তুলে ধরে পুলিশ সদর দপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং তা চলমান রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ জনসাধারণের এক্ষেত্রে শঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। পুলিশের সেবা হবে হয়রানি মুক্ত, জনবান্ধব। কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় তা বাংলাদেশ পুলিশ নিশ্চিত করবে।