সরকারি চাকরিতে থেকেও নিজেকে বেসরকারি চাকরিজীবী দেখিয়ে পাসপোর্ট তৈরির ঘটনায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলায় আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। মামলার অপর আসামিরা হলেন ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সাবেক পরিচালক মো. ফজলুল হক, সাবেক পরিচালক মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম, পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের টেকনিক্যাল ম্যানেজার সাহেনা হক।
দুদক জানিয়েছে, বেনজীর আহমেদ সরকারি চাকরিজীবী হওয়া সত্ত্বেও পাসপোর্টের আবেদনপত্রে পেশার স্থানে ‘প্রাইভেট সার্ভিস’ উল্লেখ করে জাল জালিয়াতি-প্রতারণার আশ্রয় নেন। পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি, অতিরিক্ত আইজিপির পদমর্যাদায় র্যাবের মহাপরিচালক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার পদে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি এই জালিয়াতি করেন। তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ‘প্রাইভেট সার্ভিস’ উল্লেখ করে বিভিন্ন সময়ে বিভাগীয় অনাপত্তিপত্র (এনওসি) ছাড়াই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও ই-পাসপোর্টের (ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট) জন্য আবেদন করেন।
দুদক আরও জানিয়েছে , বাকি চার আসামি বেনজীর আহমেদের দাপ্তরিক পরিচয় সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত ছিলেন। এরপরেও বিভাগীয় অনাপত্তি সনদ (এনওসি) যাচাই না করে স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে পরস্পর যোগসাজশে বেনজীর আহমেদের নামে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু ও চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করেন। এ ধরনের অনুমোদন দণ্ডবিধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং দি বাংলাদেশ পাসপোর্ট অর্ডার ১৯৭৩–এর ১১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।