নাটোরের আধুনিক সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে এক ওয়ার্ড বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার রাতেই (মঙ্গলবার রাতে) হামলার শিকার ওই চিকিৎসক বিষয়টি লিখিতভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সিভিল সার্জনকে জানিয়েছেন। পরে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মশিউর রহমান।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনায় ক্ষুব্ধ সদর হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার ও কর্মচারীরা নিরাপদ কর্মস্থল চেয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করলেও জোরপূর্বক তা পালন করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এরপরে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন ও নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজের সাবেক জিএস শহিদুল্লাহ সোহেলসহ যুবদল নেতাকর্মীদের মধ্যস্থতায় লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হিটলু। অভিযুক্ত মো. হিটলু নাটোর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার আত্মীয়।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে এসে একজন রোগীর বিষয়ে জানতে চান হিটলু। এসময় তাকে চিনতে না পারার কারণে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে হিটলু এবং তার ৫-৬ জন সহযোগী বেধরক মারধর করে চলে যায়। পরে রাতে হিটলুসহ বিএনপি নেতারা হাসপাতালে এসে তাকে চাপ দিয়ে মীমাংসা করতে বলে। বিএনপি নেতাদের চাপে তিনি ক্ষমা করেছেন বলেও জানান।
এরপর বুধবার দুপুরে সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করতে গেলে বিএনপি নেতারা মানববন্ধন না করতে সশরীরে হাজির হয়ে নিষেধ করেন।
চিকিৎসককে মারধরে বিষয় অস্বীকার করে অভিযুক্ত হিটলু বলেন, হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের সাথে তার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে নিজেরা বসে মীমাংসা করে নিয়েছেন।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান জানান, তিনি জেলার বাইরে আছেন। কর্তব্যরত একজন চিকিৎসককে মারধরে ঘটনা ঘটার পরে তিনি লিখিতভাবে জানালে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পরে অভিযুক্ত এবং তার দলের নেতারা এসে ক্ষমা চাইলে উপস্থিত চিকিৎসকরা আপস করেছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. মাহাবুর রহমান বলেন, এঘটনায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি করে সিভিল সার্জন। পরে নিজেরাই মীমাংসা করে নিয়েছে বলে জেনেছি। তারা অভিযোগটি তুলে নিয়েছেন।