চুয়াডাঙ্গায় একদিনে আলাদা আলাদা ঘটনায় তিনটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জে শিলা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে জেলার দামুড়হুদায় মাঠ থেকে আব্দুল মান্নান (৪০) নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া সদর উপজেলার খাসপাড়া গ্রামে সাপের কামড়ে সেলিম হোসেন (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইনের ওপর নিহত শিলা খাতুনের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। নিহত শিলা আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের রাসেলের স্ত্রী এবং একই উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে। নিহতের ১৪ মাসের শিশু সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী রাসেল পলাতক রয়েছে।
অপর ঘটনায় জেলার দামুড়হুদায় মাঠ থেকে আব্দুল মান্নান (৪০) নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আব্দুল মান্নান গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত হিরাজ মণ্ডলের ছেলে।
জানা যায়, গেল রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ৭টার সময় বাসা থেকে বের হন নিহত আব্দুল মান্নান। রাতে তিনি বাসায় না ফিরলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের লোকজন কোনো সন্ধান পাইনি। পরদিন সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে গ্রামের মাঠে মৃত অবস্থায় মান্নানের মরদেহ উদ্ধার হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ূন কবীর জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহ মান্নান বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরেক ঘটনায় সদর উপজেলার খাসপাড়া গ্রামে সাপের কামড়ে সেলিম হোসেন (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর আনুমানিক ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সেলিম হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, রাতে সাপে কামড়ানোর পরই সদর হাসপাতালে নেয়া হয় সেলিমকে। হাসপাতালে সরকারিভাবে সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) ছিল না। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সেলিম ভাড়ায় নিয়ে আসা মাইক্রোবাসের চাবি বন্ধক রেখে দোকান থেকে ১৪ হাজার টাকার এক ডোজ অ্যান্টিভেনম শরীরে পুশ করলেও বিলম্বের কারণে সেলিমকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে তাৎক্ষণিক অ্যান্টিভেনম পাওয়া যেত তাহলে হয়তো সেলিমকে বাঁচানো সম্ভব হতো বলে জানান স্বজনরা।