বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার রাতে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এবার ছাত্রলীগ আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্ত’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘অবৈধ, অসাংবিধানিক, দেশবিরোধী’ উল্লেখ করে এর পদত্যাগ দাবি করেছে সংগঠনটি। বিবৃতির দেওয়ার বিষয়টি ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তারা প্রথমেই ছাত্রলীগের ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয়দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব ও আত্মদান থেকে শুরু করে পরবর্তীতে জনগণের সকল আন্দোলনেও যুগপৎ স্রষ্টা হিসেবে ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ ছাত্রল গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিজেদের ভূমিকার জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ছাত্রলীগ। আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে সংগঠনটির ভাষ্য, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘মেটিকিউলাস প্ল্যানের’ অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে শিক্ষার্থীদের বিপরীতে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থি ও রাষ্ট্রবিরোধী কুচক্রী স্বার্থান্বেষী মহল।’
অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের ‘ব্যর্থতা’ ঢাকতে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে দাবি করে বিবৃতিতে তারা লিখেছেন, ‘আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতা লুকানোর জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ও অসাংবিধানিক সরকার।’