সন্ধ্যা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার ৪০ ঘণ্টা পর জেলের মরদেহ উদ্ধার

: বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২ মাস আগে
প্রতীকী ছবি

বরিশালের বানারীপাড়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ধ্যা নদীতে মা ইলিশ শিকারের সময় অভিযানের টের পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালাতে গিয়ে নিখোঁজ জেলে শহীদ শিকদারের ভাসমান মরদেহ প্রায় ৪০ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে চাখার ইউনিয়নের জাংগালিয়া গ্রামসংলগ্ন সন্ধ্যা নদী শহীদ সিকদারের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শহীদ সিকদারের সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের মসজিদ বাড়ি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মো. ফয়জর আলী সিকদারের ছেলে।
জাংগালিয়া এলাকার ইউপি সদস্য শাকিল সুমন জানায়, জেলে শহীদ সিকদারের পরিবার কনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়ায় জড়াতে চান না তাই মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায়।

গানা যায়- গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর ) রা৩ ৯টার দিকে স্পডি বোট ও দুটি ট্রলার নিয়ে বানারীপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্রর নেতৃত্বে সন্ধ্যা নদীতে অভিযান চলাকালীন সময়ে নদীতে জাল ফেলে নৌকায় অবস্থান করছিলেন শহীদ সিকদার ও নুরুদ্দীন নামের দুই জেলে। অভিযানের টের পেয়ে তারা পালিয়ে যেতে নদীতে ঝাঁপ দেন। এসময় শহীদ সিকদার নদীতে ডুবে যান এবং সাঁতরে তীরে উঠতে গিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী নুরুদ্দীন ধরা পড়েন। এসিল্যান্ড ওই সময় শহীদকে নদীতে খুঁজে না পেয়ে নুরুদ্দীনকে নিয়ে অভিযান স্থগিত করে ফিরে যান। পরে তিনি বাকপ্রতিবন্ধী নুরুদ্দীনকে তার মায়ের জিম্মায় ওইদিন রাত আনুমানিক ১টার দিকে ছেড়ে দেন। এদিকে সেই থেকে শহীদ সিকদারকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন মাইকিং করাসহ নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নদীর বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করতে থাকেন।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি ) মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্র জানান, গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর ) রা৩ ৯টার দিকে স্পিড বোট ও দুটি ট্রলার নিয়ে তার নেতৃত্বে সন্ধ্যা নদীতে অভিযান চলাকালীন সময়ে মসজিবাড়ি এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকার করছিলেন শহীদ সিকদার ও নুরুদ্দীন নামের দুই জেলে। অভিযানের টের পেয়ে তারা পালানোর উদ্দেশ্যে নৌকা থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এসময় শহীদ সিকদার নিখোঁজ হয় এবং বাকপ্রতিবন্ধী নুরুদ্দীন ধরা পড়েন। তাৎক্ষণিক নদীতে খুঁজেও শহীদ সিকদারের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা জানান, মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি ও ইউএনও জেলে শহীদ সিকদারের উপজেলার মসজিদবাড়ি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ও ময়না তদন্ত করতে না চাওয়ায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. অন্তরা হালদার জানান, তিনি জেলে শহীদ সিকদারের বাড়িতে যাওয়ার পরে তার পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের দাবি জানান। পরে জেলা প্রশাসক বরাবারে আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।

  • উদ্ধার
  • জেলে
  • মরদেহ
  • সন্ধ্যা নদী
  • #