সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, জনসংখ্যার অনুপাতিক হারে সংসদে প্রতিনিধিত্ব, পার্বত্য শান্তি চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে দেশের হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ঐক্যবদ্ধ সংগঠন ‘সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা’।
শনিবার (০২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চার পক্ষ থেকে গণসমাবেশ ও মিছিল শেষে এ দাবি করা হয়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তন পরিবর্ধনের পর থেকেই, দেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে নানা দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে আন্দোলন জোরদার করে আসছে তারা।
আজকের সমাবেশে সংখ্যালঘুদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের মন্দির, বাড়ি ঘরে হামলা এবং অগ্নি সংযোগের তীব্র নিন্দা জানানো হয় সমাবেশ থেকে। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তর বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলা এবং ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-ইসকনসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন।
সমাবেশ বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ বড়ুয়া, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেমন্ত কোরাইয়া ও ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র ব্রহ্মচারী।