পার্বত্য চট্টগ্রামে জারি করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা বাতিলসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। রবিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কুনেন্টু চাকমা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত শাসকগোষ্ঠী ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দমন-পীড়ন, নির্যাতন, হত্যার মতো ঘটনার শিকার হয়ে অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। দীর্ঘ সংগ্রামের পথে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় বহু নেতাকর্মীকে কারাবন্দি হতে হয়েছে।’
সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন কুনেন্টু চাকমা। দাবিগুলো হল-
১. অবিলম্বে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি কারাগারে আটক ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দিতে হবে। আদালত থেকে জামিন লাভের পর জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। হাসিনা সরকারের আমলে ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহার করতে হবে।
২. গত ৩০ অক্টোবর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে তিন জন ইউপিডিএফকর্মীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।
৩. পার্বত্য চট্টগ্রামে জারি করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা বাতিল করতে হবে।
৪. গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে চার জন পাহাড়িকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সেনা-সেটলাদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে। এছাড়াও নিহত ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের যথাযথা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ বাহিনী ভেঙে দিতে হবে। তাদের মধ্যে যারা খুন, গুম, অপহরণ ওসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।
৬. খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানা গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৭. পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ‘অপারেশন উত্তরণ’ বাতিল করে সেনাশাসন প্রত্যাহার করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।