চা-শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপন

: সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ১ মাস আগে

মৌলভীবাজারের সাতটি, হবিগঞ্জের চারটি এবং সিলেটের একটি চা বাগানের শ্রমিকরা গত দুই মাস ধরে বেতন ও সাপ্তাহিক রেশন না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই সংকটের কারণে চা বাগানের উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিজয় হাজরা জানান, শ্রমিকরা প্রায় দেড়মাস ধরে পেটের ক্ষুধা নিয়েই কাজ করেছেন। কিন্তু উপায় না পেয়ে ২১ অক্টোবর থেকে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে করে চা-বাগানগুলোতে আন্দোলন-বিক্ষোভ ক্রমশই তীব্রতর হচ্ছে।

চা বাগানগুলোতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজাররা শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেছিলেন, ৭ নভেম্বর পরিচালকদের ৬৭৯ তম বোর্ড মিটিংয়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতার সমস্যার সমাধান করা হবে। তবে সূত্র জানায়, বোর্ড মিটিংটি আজ অনুষ্ঠিত হয়নি। কবে তা হবে তাও নিশ্চিত নয়। ফলে শ্রমিকরা বেতন না পেয়ে চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন। ঘরে চাল-আটা নেই, রান্নার চুলায় আগুন জ্বলছে না—এই অবস্থায় অনেক পরিবারই দিন কাটাচ্ছে ক্ষুধার যন্ত্রণায়। পরবর্তীতে চা-শ্রমিকদের কঠোর আন্দোলনের দায় কে নিবে? শ্রীমঙ্গলসহ ডিডিএল কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিল।

বিজয় হাজরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মিডিয়ায় আমাদের দুর্দশার কথা প্রচার হচ্ছে, তবু সরকার থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। এই চরম সংকটে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি বা সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিকদের দাবি, সরকারের উচিত অতি দ্রুত তাঁদের বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া। নয়তো, পরিস্থিতি আরও জটিল ও সংকটপূর্ণ আকার ধারণ করতে পারে।

  • চা শ্রমিক
  • মানবেতর জীবনযাপন
  • #