সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে এক নারীর ব্যাগ তল্লাশি করেছে দুই ছাত্র। কোতোয়ালি থানার সিনেমা প্যালেস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উপস্থিত জনতা দুই ছাত্রকে ধাওয়া দিয়ে পিটুনি দেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া দুই ছাত্র হলেন সাব্বির ও রায়হান। তাদের মধ্যে রায়হান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। অপরজনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া যায়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের বলেন, যৌনকর্মী সন্দেহে কিছু নারীকে তাড়া করে ওই দুই ছাত্র। এ সময় এক নারী একটি হোটেলে আশ্রয় নেন। তার পেছন পেছন দুই ছাত্র হোটেলে উঠলেও তাকে আর খুঁজে পায়নি। হোটেল থেকে নেমে একটি বাসের পেছনে বোরকা পরিহিত আরেক নারীকে দেখে তারা সন্দেহ করে। পরে তার ব্যাগে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী (কনডম) রয়েছে কিনা তা তল্লাশি করে দেখে তারা।
একপর্যায়ে ওই নারীর স্বামী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় সেখানে প্রায় দুই থেকে আড়াইশ লোক জড়ো হয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা ওই দুজনকে মারার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। তারা দুজনেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তাদের থেকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম অংশের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ছাত্রদের কাজ এখন পড়ার টেবিলে বসা এবং পাশাপাশি পতিত শক্তির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা। ছাত্রদের কাজ তো কারও ব্যাগ তল্লাশি করা নয়।